বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি জেনে নিন
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি জেনে নিন এবং ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে ধারণা নিন এই পোস্টের মাধ্যমে। চাকরির বাজারে মন্দার জন্য এখন ফ্রিল্যান্সিং এর চাহিদা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। তেমনি মার্কেটপ্লেসগুলোতেও প্রতিযোগিতা বেড়েছে বহুগুণ।
ফ্রিল্যান্সিং করে সফলতা অর্জনের জন্য অবশ্যই সঠিক সেক্টর খুঁজে বের করতে হবে এবং দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন ফ্রিল্যান্সিং এর কতগুলো সেক্টর আছে এবং কি কি, ডিমান্ডেবল সেক্টর এবং ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
পোস্ট সূচীপত্রঃ বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি জেনে নিন
- বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি জেনে নিন
- ফ্রিল্যান্সিং এর কতগুলো সেক্টর আছে এবং কি কি
- ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৪
- ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কি
- ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কত
- ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো সঠিক গাইডলাইন
- ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা পাওয়ার বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম কোনটি
- ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বায়ার কাকে বলে
- ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নারী পুরুষের অংশগ্রহণের শতকরা হার কত
- লেখকের মন্তব্য
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি জেনে নিন
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি? আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান তাহলে হয়তো বা এই প্রশ্নটি প্রতিনিয়ত আপনার মনে ঘোর পাক খাচ্ছে, তাহলে আমি এই প্রশ্নটির সঠিক উত্তর দিচ্ছি। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। কারণ মার্কেটপ্লেস এবং লোকাল মার্কেট উভয় জায়গাতেই এখন ডিজিটাল মার্কেটিং এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট ইউজারের সংখ্যা প্রায় ২ বিলিয়নেরও বেশি। বিভিন্ন কোম্পানি বা ব্যান্ডগুলো তাদের এডভাইসমেন্ট সিস্টেমগুলো এখন অনলাইন ভিত্তিক করে তোলার চেষ্টা করছে। কারণ এখানে লোক চাহিদার পরিমাণ সবথেকে বেশি। অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসাও অনেক বেড়েছে প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে, এজন্য বিভিন্ন কোম্পানি বা ব্যান্ডগুলো তাদের প্রচার-প্রচারণার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং কে বেছে নিচ্ছে।
আরো পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম সেরা ১২টি উপায়
মার্কেটপ্লেসগুলোতেও বাইয়াররা তাদের ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট, ভিডিও, প্রোডাক্ট ইত্যাদি প্রচারের জন্য ডিজিটাল মার্কেটার কে খুঁজে থাকে অধিক। সবমিলিয়ে বলা যায় বর্তমান সময়ে সবথেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর ডিজিটাল মার্কেটিং। মার্কেটপ্লেস এবং লোকাল মার্কেট উভয় জায়গাতেই ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ডিজিটাল মার্কেটিং কথাটি শুনে মনে হচ্ছে এটা একটি সেক্টর মাত্র, না ডিজিটাল মার্কেটিং এর আবার অনেকগুলো সেক্টর রয়েছে যেমনঃ
- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এস ই ও) মার্কেটিং
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
- ইমেইল মার্কেটিং
- ভিডিও মার্কেটিং
- কন্টেন মার্কেটিং
- ব্লগিং ইত্যাদি
আপনি এর ভেতর থেকে নির্দিষ্ট যেকোনো একটি সেক্টরের উপরে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। তাহলে আশাকরা যায় আপনার কাজের ভবিষ্যত সুন্দর হবে। কারণ প্রতিনিয়ত ইন্টারনেট ইউজারের সংখ্যা বেড়েই চলেছে আর ইন্টারনেট ইউজারের সংখ্যা যত বাড়তে থাকবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদাও তত বৃদ্ধি পাবে। মার্কেটপ্লেস এবং লোকাল মার্কেটপ্লেস উভয় মিলেই ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই পরিশেষে বলা যায় বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং।
ফ্রিল্যান্সিং এর কতগুলো সেক্টর আছে এবং কি কি
ফ্রিল্যান্সিং এর কতগুলো সেক্টর আছে এবং কি কি, ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য এই বিষয়টি জানা অনেক গরুত্বপূর্ণ। কারণ ফ্রিল্যান্সিং এর অনেকগুলো সেক্টর রয়েছে এর মাঝে থেকে আপনি যেকনো এক বা একাধিক সেক্টরে দক্ষতা অর্জন করার মাধ্যমে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য অবশ্যই আপনাকে একটি সঠিক সেক্টর বেছে নিতে হবে। এজন্য ফ্রিল্যান্সিং এর কতগুলো সেক্টর আছে এবং কি কি তা জানা আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
চলুন জেনে নেই ফ্রিল্যান্সিং এর সেক্টর গুলো কি কিঃ
ডিজিটাল মার্কেটিং - সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এস ই ও), সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং ও ভিডিও মার্কেটিং সহ অনেক বিষয়ে রয়েছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাঝে।
গ্রাফিক্স ডিজাইন - লোগো ডিজাইন, ব্রোসার ডিজাইন, সোশ্যাল মিডিয়া ও গ্রাফিক্স টি শার্ট ডিজাইন সহ অনেক ক্যাটাগরি রয়েছে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মাঝে।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট - ওয়েবসাইট ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ইউএক্স ডিজাইন, অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ও সিস্টেম এডমিনিস্টেশন সহ অনেক ক্যাটাগরি রয়েছে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর মাঝে।
ডাটা এন্ট্রি - ডাটা এন্ট্রি, প্রশাসনিক সহায়তা, ও বিভিন্ন কোম্পানির গ্রাহক সেবা সহ অনেক ক্যাটাগরি রয়েছে ডাটা এন্ট্রি এর মাঝে।
ভিডিও এডিটিং - ভিডিও তৈরি, অ্যানিমেশন, ভিডিও এডিটিং সহ অনেক ক্যাটাগরি রয়েছে ভিডিও এডিটিং এর মাঝে।
কন্টেন রাইটিং - ব্লগ লেখা, কপিরাইটিং, গ্রন্থনা, কন্টেন্ট স্ট্র্যাটেজি ও ভাষান্তর সহ অনেক ক্যাটাগরি রয়েছে কন্টেন রাইটিং এর মাঝে।
ইমেইল মার্কেটিং - প্রোডাক্ট প্রচারণা, ইনফরমেশন শেয়ারিং সহ অনেক ক্যাটাগরি রয়েছে ইমেইল মার্কেটিং এর মাঝে।
ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৪
ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৪ এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ অনেকেই নতুন ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য এই বিষয় সম্পর্কে কোন ধারণা রাখে না। ফলে তারা যেকোন একটি বিষয়ের উপরে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করে পরবর্তীতে সে বিষয়ে কাজ না পেয়ে বা কাজ করতে না পারায় হতাশ হয়ে ফ্রিল্যান্সিং ছেড়ে দেয়। ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং এর কতগুলো সেক্টর আছে এবং কি কি?
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি এই বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা রাখা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি জানেন যে ফ্রিল্যান্সিং এর কতগুলো সেক্টর রয়েছে এবং সেগুলো সম্পর্কে যদি ধারনা থাকে তাহলে আপনি আপনার সুবিধা মত একটি ক্যাটাগরি বেছে নিতে পারবেন।এতে করে আপনার পছন্দের ক্যাটাগরির ওপর আপনার ফ্রিল্যান্সিং যাত্রা খুব সহজেই শুরু করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৪ এ এসে যদি আমরা এ প্রশ্নের উত্তর খুজতে যাই তাহলে প্রথমে চলে আসবে ডিজিটাল মার্কেটিং, কন্টেন্ট রাইটিং এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কথা। ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে আমরা পোস্টের শুরুর দিকে বিস্তারিত বলেছি এতক্ষণে হয়তো আপনারা ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে অনেক কিছু বুঝতে পেরেছেন। এবার চলুন কন্টেন রাইটিং এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করি।
আরো পড়ুনঃ ফেসবুকে কত ফলোয়ার হলে টাকা পাওয়া যায়
কন্টেন্ট রাইটিং - ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে জনপ্রিয় একটি ক্যাটাগরি হচ্ছে কনটেন্ট রাইটিং। কন্টেন্ট রাইটিং কাজটি তুলনামূলক ভাবে কিছুটা সহজ হয়ে থাকে। কন্টেন্ট রাইটিং বলতে কনো একটি বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা দেওয়া কে বোঝায়। কন্টেন্ট রাইটিং করার সময় আমাদের বেশ কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে যেমন টেন্ডিং টপিক নিয়ে কনটেন্ট লেখা এবং পাঠকরা কোন ধরনের কনটেন্ট সম্পর্কে বেশি জানতে চাচ্ছে সে ধরনের কনটেন্ট লেখা।
অনলাইনে কনটেন্ট লিখার ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে কিওয়ার্ড এসইও। কন্টেন রাইটিং এর জন্য বহুল ব্যবহৃত সফটওয়্যার গুলো হচ্ছেঃ
- কপি মেটিক
- রাইটার
- ওয়ার্ড টিউন
- প্রো-রাইটিং এড
- হোমিংওয়ে অ্যাপ
- গুগল ডোক্স
গ্রাফিক্স ডিজাইন - বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং জগতে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। গ্রাফিক্স ডিজাইন হচ্ছে ইমেজ এবং কালার কমিউনিকেশন এর মাধ্যমে বার্তা প্রদান করা। গ্রাফিক্স ডিজাইন বিষয়টি আরও সহজ ভাষায় হচ্ছে, মানুষের চিন্তাশক্তি এবং ধারণা শক্তিকে ব্যবহার করে ইমেজ বা টেক্সট এর কালার কমিউনিকেশনের মাধ্যমে এমন একটি ইমেজ তৈরি করা, যার মাধ্যমে মানুষের চিন্তাশক্তি ও ধারনা শক্তি কে সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ করা যায়।
মার্কেটপ্লেস এবং লোকাল মার্কেট প্লেসেও গ্রাফিক্স ডিজাইনের এখন অনেক চাহিদা রয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং এর অন্তর্ভুক্ত গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ সমূহ হলোঃ
- ফন্ট ডিজাইন
- লোগো ডিজাইন
- ইমেজ এডিটিং
- গেম আর্ট
- সোশ্যাল মিডিয়া ডিজাইন
- ওয়েবসাইট ডিজাইন
- আইকন ডিজাইন
- অ্যাপ ডিজাইন
- বিজনেস কার্ড ডিজাইন
- প্যাটার্ন ডিজাইন ইত্যাদি
ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কি
ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কি অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ অনেক সুন্দর। একটি পরিসংখ্যান মতে, আপওয়ার্কের রাজস্ব ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২১ সালে ৫০২ মিলিয়ন ইউএস ডলারের বেশি আয় করেছে ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম আপওয়ার্ক। সারা বিশ্বে প্রায় ১.২ বিলিয়ন মানুষ ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করে। আরেকটি পরিসংখ্যান মতে, যুক্তরাষ্ট্রে ৫৯ মিলিয়ন ফ্রিল্যান্সার আছে, ভারতে ১৫ মিলিয়ন ফ্রিল্যান্সার আছে, কানাডায় ২.৭ মিলিয়ন ফ্রিল্যান্সার আছে।
যুক্তরাজ্যে ২.২ মিলিয়ন ফ্রিল্যান্সার আছে, ইউরোপে ২২ মিলিয়ন ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। এই পরিসংখ্যান গুলো দেখে আমরা অবশ্যই বুঝতে পারছি যে ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ অবশ্য অনেক ভালো। বিশ্বব্যাপী মোট কর্মশক্তির প্রায় ১/৩ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে। এর সংখ্যা ভবিষ্যতে আরও বেশি হবে বলে আশা করা যায় কারণ প্রতিনিয়ত ইন্টারনেট ইউজারের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আর যত ইন্টারনেট ইউজারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে তত ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে।
প্রতিনিয়ত ইন্টারনেট ইউজারের সংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে তেমনি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরেও কাজের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে ফলে ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ অনেক সুন্দর বলে আশা করা যায়। ফ্রিল্যান্সিং শিখে ক্যারিয়ার তৈরি করার জন্য অবশ্যই বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি জেনে কাজ শুরু করা উচিত। ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে একটি সুনিশ্চিত ক্যারিয়ার আশা করা যায়।
ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কত
ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কত এই প্রশ্ন হয়তোবা অনেকের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। সিইও ওয়ার্ল্ড ম্যাগাজিনে একটি প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফ্রিল্যান্সিং নিয়োগের শীর্ষ ৩০ দেশের মাঝে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ২৯ তম। ওই প্রতিবেদনে বলা হয় ১৫৭ কোটি ফ্রিল্যান্সার রয়েছে বিশ্বব্যাপী। ধারণা করা হয় ৩৯ বিলিয়ন ডলারের প্ল্যাটফর্ম ফ্রিল্যান্সিং। উক্ত নিয়োগে ৪৬.৯২ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ২৯ তম।
এতে করে বুঝতে পারছেন ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান খুব একটা ভালো পর্যায়ে নয়। কিন্তু প্রতিনিয়ত তা ডেভোলপ হচ্ছে এবং উন্নতির দিকে পদার্পণ করছে। বাংলাদেশের পিছিয়ে থাকার কারণ হচ্ছে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি এবং ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে ধারণা না নিয়েই অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করে এবং শেষ পর্যন্ত সাকসেস হতে পারেনা।
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো সঠিক গাইডলাইন
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো সঠিক গাইডলাইন? বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের চাকরির বাজার মন্দার জন্য অনেকেই এখন অনলাইন ইনকাম ফ্রিল্যান্সিং এর দিকে ঝুকে আসছে। ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য অবশ্যই একটি সঠিক গাইডলাইনের প্রয়োজন। এখন হয়তোবা ভাবছেন যে, এই সঠিক গাইডলাইন কোথায় থেকে পাবেন? আপনি ফেসবুকে বা ইউটিউবে গিয়ে যদি ফ্রিল্যান্সিং কোর্স লিখে সার্চ দেন তাহলে অনেক ভিডিও পেয়ে যাবেন।
কিন্তু শুধু ইউটিউব বা ফেসবুকের ভিডিও দেখে কি আপনি ফ্রিল্যান্সিং শিখে যাবেন? হ্যাঁ আপনি ইউটিউবে ফেসবুকের ভিডিও দেখে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন তবে সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হবে। সঠিকভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে হলে অবশ্যই একটি সঠিক গাইডলাইনের প্রয়োজন। এজন্য আপনি একটি ভালো মানের আইটি সেন্টারে ভর্তি হতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ ফেসবুকে কত ফলোয়ার হলে টাকা পাওয়া যায়
ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে অবশ্যই আপনাকে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি জেনে নিয়ে কাজ শুরু করা উচিত। অনেকেই গুগলে সার্চ করে থাকেন মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো বা মোবাইল দিয়ে কি ফ্রিল্যান্সিং করা যায়? হ্যাঁ আপনি চাইলে মোবাইল দিয়েও ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে এমন অনেক কাজ রয়েছে যেগুলো মোবাইল দিয়েও করা সম্ভব।
আপনি যে আইটি সেন্টারে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন বলে ভাবছেন অবশ্যই সে আইটি সেন্টার সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিবেন। রাজশাহীতে সব থেকে ভালো ফ্রিল্যান্সিং শেখাই কোথায়? আপনি যদি রাজশাহীতে একটি ভালো মানের আইটি সেন্টার খুঁজে থাকেন তাহলে অর্ডিনারি আইটি এর নাম চলে আসবে সর্বপ্রথম। আপনি চাইলে তাদের সাথে যোগাযোগ করে বিস্তারিত জানতে পারেন। অর্ডিনারি আইটির ওয়েবসাইট লিংক - OrdinaryIt ।
ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা পাওয়ার বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম কোনটি
ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা পাওয়ার বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে Payoneer । সারা বিশ্বের ফ্রিল্যান্সার দের লেনদেনর জন্য সর্বোচ্চ ব্যবহারকৃত জনপ্রিয় অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম পেপ্যাল। কিন্তু বাংলাদেশে পেপ্যাল ব্যবহারের অনুমতি নেই এজন্য বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সার দের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে Payoneer । ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা পাওয়ার জন্য বাংলাদেশে অনেকগুলো মাধ্যম রয়েছে সেগুলো হচ্ছেঃ Payoneer, স্ক্রিল, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার।
Payoneer - বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সার দের কাছে Payoneer অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কারণ পেনিওর সারা বিশ্বের ক্লায়েন্টদের থেকে পেমেন্ট নেওয়ার সুযোগ দিয়ে থাকে এবং তা তাদের স্থানীয় ব্যাংকে উত্তোলনের সুযোগ প্রদান করে দেয়। Payoneer প্রিপেড মাস্টারকার্ড ও অফার করে থাকে ফলে এটিএম থেকে টাকা উত্তোলন বা অনলাইন কেনাকাটা করতে অনেক সুবিধা হয়।
আরো পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম সেরা ১২টি উপায়
স্ক্রিল - এটিও বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সার দের বহুল ব্যবহৃত একটি পেমেন্ট মাধ্যম। স্ক্রিল ৪০টিরও বেশি মুদ্রায় পেমেন্টের সুবিধা দেয়। স্ক্রিল পেমেন্ট মাধ্যমে লেনদেনের ফি কম, দ্রুত এবং নিরাপদ অর্থ প্রদান করে।
আপওয়ার্ক - আপওয়ার্ক হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং এর একটি জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস। এখানে ফ্রিল্যান্সার রা তাদের কাজ খুঁজে পাই এবং আপওয়ার্ক তাদের পেমেন্ট এর ব্যবস্থা করে। আপওয়ার্কে পেমেন্টের জন্য আপওয়ার্ক কে নির্দিষ্ট ফি প্রদান করতে হয়।
ফ্রিল্যান্সার - এখানেও ফ্রিল্যান্সাররা তাদের কাজ করতে পারে এবং ফ্রিল্যান্সার নিজেই তাদের পেমেন্ট সিস্টেম ব্যবস্থা করে।
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বায়ার কাকে বলে
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বায়ার বলতে গ্রহিতাকে বোঝায় যে সার্ভিস কিনে নেয়। আপনি যখন মার্কেটপ্লেসে যেমনঃ ফাইবার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার এগুলোতে কাজ করবেন তখন আপনি আপনার কাজ গুলো সেখানে সেল করবেন এবং গ্রহীতা তার প্রয়োজন অনুসারে তার সেই কাজগুলো কিনে নিবে।মার্কেটপ্লেস এ যে সার্ভিস সেল করে তাকে ফ্রিল্যান্সার বলে, আর যিনি তার প্রয়োজন অনুসারে সার্ভিসগুলো কিনে নেয় তাকে বায়ার বলে।
প্রতিনিয়ত ফ্রিল্যান্সিং এর চাহিদা অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে। তেমনি মার্কেটপ্লেস গুলোতেও কাজের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে। মার্কেটপ্লেস এবং লোকাল মার্কেটপ্লেস উভয় জায়গাতেই কাজ করছে ফ্রিল্যান্সাররা। মার্কেটপ্লেস ছাড়াও লোকাল মার্কেটপ্লেসেও অনেক কাজ পাওয়া যাচ্ছে এবং কাজ করার ও কিছু সুবিধা রয়েছে। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি জেনে এবং ফ্রিল্যান্সিং এর কতগুলো সেক্টর আছে তা সম্পর্কে ধারণা নিয়ে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নারী পুরুষের অংশগ্রহণের শতকরা হার কত
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নারী পুরুষের অংশগ্রহণের শতকরা হার কত চলুন এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিই। অনলাইন শ্রমশক্তিতে বাংলাদেশের অবস্থান বর্তমানে দ্বিতীয়। বাংলাদেশের প্রায় ৬ লাখ সক্রিয় ফ্রিল্যান্সার রয়েছে যারা প্রতিনিয়ত মার্কেটপ্লেস এবং লোকাল মার্কেটপ্লেসে কাজ করে যাচ্ছে। ফ্রিল্যান্সাররা প্রতিনিয়তই আমাদের দেশে অর্থনীতিকে তাদের উপার্জিত রেমিটেন্স দ্বারা প্রভাবিত করছে।
মেয়েরাও এদিক থেকে পিছিয়ে নেই। ২০১৪ সালের একটি জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশ ৯ শতাংশ নারী ফ্রিল্যান্সার কাজ করতো। বর্তমানে ৬ লাখ সক্রিয় ফ্রিল্যান্সার এর মাঝে ১১ শতাংশ নারী। এদিক থেকে বলা যায় বাংলাদেশের নারীরাও ফ্রিল্যান্সিং এ একদম পিছিয়ে নেই এবং প্রতিনিয়ত তারা আরো সক্রিয় হয়ে উঠছে। বাংলাদেশ সরকার ও ফ্রিল্যান্সিং এ সক্রিয় হয়ে ওঠার জন্য অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
লেখকের মন্তব্য
বর্তমান বাংলাদেশের শ্রম বাজারের অবস্থা অনেক মন্দা চলছে। বাংলাদেশে শিক্ষিত বেকারত্ব সমস্যা বেড়েই চলেছে। আপনারা চাইলেই কিন্তু বেকার বসে না থেকে নিজে উদ্যোক্তা হয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন। বাংলাদেশ সরকারও ফ্রিল্যান্সিং করে উদ্যোক্তা তৈরি করার জন্য অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বর্তমান বাংলাদেশে প্রায় ৬ লক্ষ ফ্রিল্যান্সার রয়েছে যারা প্রতিনিয়ত রেমিটেন্স ইনকাম করে বাংলাদেশ অর্থনীতিকে অনেক প্রভাবিত করছে।
বাংলাদেশের ৬ লক্ষ সক্রিয় ফ্রিল্যান্সার এর মাঝে ১১ শতাংশ রয়েছে নারী অর্থাৎ ৭১ হাজার ৫০০ জন এক্ষেত্রে বলা যায় বাংলাদেশের নারীরাও পিছিয়ে নেই। আপনি চাইলেই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করে একটি সুনিশ্চিত ক্যারিয়ার তৈরি করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং এর বর্তমান ডিমান্ডেবল সেক্টর এবং ফ্রিল্যান্সিং এর কি কি সেক্টর রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে বুঝে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন।
RIPONTECH24 এর নীতিমালা মেনে আমাদের ওয়েব সাইটে আপনার মূল্যবান কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ। আমরা আপনাদের প্রতিটি কমেন্টের রিভিউ করে থাকি ।
comment url