মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম সেরা ১২টি উপায়

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম এই বিষয়ে হয়তো আমাদের তেমন কোন ধারণা নেই আমরা মনে করি ফ্রিল্যান্সিং করতে অবশ্যই ভালো মানের কম্পিউটার বা ল্যাপটপের প্রয়োজন হয়। কিন্তু আপনি চাইলেই আপনার হাতের স্মার্ট ফোনটি দিয়েই ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন।

আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সবকিছুই এখন মোবাইল ফোনের উপর নির্ভরশীল। কিভাবে সেই মোবাইল দিয়ে ইনকাম করা যায় ফ্রিল্যান্সিং করে ও মোবাইল দিয়ে আর্টিকেল রাইটিং করে আয় করা যায় যদি এই সমস্ত বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চান তো এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই।

পোস্ট সূচীপত্রঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকামের সেরা ১২টি উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম সেরা ১২টি উপায়

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম এর অনেকগুলো মাধ্যম রয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) মূলত এক ধরনের মুক্ত পেশা। ২০২৩ সালের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশে ৬ লক্ষ ৫০ হাজারের বেশি ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। যাদের মধ্যে ৫ লক্ষ ফ্রিল্যান্সার নিয়মিত কাজ করে থাকে। ফ্রিল্যান্সিং এর ১২ হাজারেরও বেশি জব ক্যাটাগরি রয়েছে। যার মাঝে ৩০ থেকে ৪০ টা জব ক্যাটাগরির কাজ করে আমরা ফ্রিল্যান্সিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবো।

আপনি যদি ইউটিউবে বা গুগলে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকামের উপায় লিখে লিখে সার্চ করেন তো অসংখ্য ভিডিও, আর্টিকেল পেয়ে যাবেন। আপনাদের সুবিধার্থে আমি অনেক রিসার্চ করে ১২ টি জব ক্যাটাগরির একটি লিস্ট বানিয়েছি। যে জবগুলো মোবাইল দিয়েও করা সম্ভব এবং ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসেও অনেক বেশি পরিমাণে চাহিদা রয়েছে। চলুন সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।

মোবাইল দিয়ে আর্টিকেল রাইটিং করে আয়

মোবাইল দিয়ে আর্টিকেল রাইটিং করে আয় করতে পারবেন যদি আপনি লেখালেখি পছন্দ করে থাকেন। আমরা যেহেতু মোবাইল দিয়ে লেখালেখি করতে পারি, তাই আপনি চাইলেই আপনার হাতের স্মার্ট মোবাইল ফোনটি দিয়ে আর্টিকেল রাইটিং সার্ভিসও দিতে পারবেন। বর্তমান সময়ে প্রতিনিয়ত ইন্টারনেটে নতুন নতুন ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে আর একটি ওয়েবসাইট পরিচালনা করার জন্য অনেক বেশি আর্টিকেলের প্রয়োজন হয়। এজন্য প্রতিনিয়তই আর্টিকেল রাইটিং এর চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

যার ফলে আপনার যদি লেখালেখি করতে ভালো লাগে তো আপনি চাইলেই আর্টিকেল রাইটিং এর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন মোবাইল দিয়েই। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতেও প্রতিনিয়ত এই আর্টিকেল রাইটিং এর কাজ বেড়েই চলেছে। আর মজার বিষয় হচ্ছে আপনি চাইলেই আপনার মোবাইল দিয়েই আর্টিকেল রাইটিং এর কাজ শুরু করতে পারেন। আপনার লেখালেখি আরো ফাস্ট করার জন্য ChatGPT, Copy Ai, Writersonic এর সাহায্য নিতে পারেন।

মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং করে আয়

মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং করে আমরা আয় করতে পারি। ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি বড় অংশ হচ্ছে ফেসবুক মার্কেটিং। ফেসবুক হলো বর্তমান প্রজন্মের একটি বড় আসক্তির নাম। বর্তমান পৃথিবীতে প্রায় ২.৯৩ বিলিয়ন মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে থাকেন। মার্ক জুকারবার্গ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি রত অবস্থায় ২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ফেসবুক আবিষ্কার করেন। ফেসবুক অনলাইন মার্কেটিং এর জন্য অনেক বড় একটা প্ল্যাটফর্ম।

আপনি চাইলেই যে কোন ব্যান্ডের প্রমোশন করে সেটাকে জনসম্মুখে নিয়ে আসতে পারেন ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে। এছাড়াও ফেসবুক পেজ খুলে নিয়মিত ভিডিও বানিয়ে নির্দিষ্ট ফলোয়ার ওয়াচটাইম পূর্ণ হলে ফেসবুক মনিটাইজেশন এর মাধ্যমে ইনকাম করা যায়। আর এই কাজগুলো মোবাইল দিয়েই করা যায়।

মোবাইল দিয়ে ইউটিউব মার্কেটিং করে আয়

মোবাইল দিয়ে ইউটিউব মার্কেটিং করে আয় করছে এমন অনেক ব্যক্তি রয়েছে। বর্তমানে ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ইউটিউব এর ব্যবহার বহুল প্রচলিত। ইউটিউব এর ব্যবহার কি মাত্রাই হয় তা সহজেই বোঝা যায় কিছু পরিসংখ্যান থেকে, প্রতি মিনিটে এই প্লাটফর্মটিতে ৫০০ ঘন্টার ভিডিও আপলোড হয় এবং প্রতিদিন আমরা এখানে ১ বিলিয়ন ঘন্টার ওপর ভিডিও দেখি। অন্যান্য উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশেও ইউটিউব এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

বাংলাদেশে এখন অনেক ইউটিউবার রয়েছে যারা ইউটিউব থেকে প্রতি মাসে ৬ সংখ্যার পেমেন্ট পাচ্ছে। বাংলাদেশে যত ইউটিউবার রয়েছে তার মাঝে প্রায় বেশিরভাগ মোবাইল দিয়েই তাদের ইউটিউব যাত্রা শুরু করেছে। তাই আপনি চাইলেই ইউটিউব চ্যানেল খুলে বিভিন্ন টিউটোরিয়াল, টিপস এন্ড টিকস, রেসিপি ও বিভিন্ন ক্যাটাগরির উপর ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে ইনকাম করতে পারেন। ইউটিউব এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনার আপলোডকৃত কনটেন্ট যদি ভাল হয় খুব দ্রুতই সফলতা আসবে।

মোবাইল দিয়ে ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয়

মোবাইল দিয়ে ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয় এখন এটি বহুল পরিচিত একটি বিষয়। বর্তমান সময়ে এসে যদি আপনি অনলাইন ইনকাম করতে চান তো এর জন্য একটি বেস্ট অপশন হচ্ছে ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং। আর এই ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং এর সকল কাজ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সকল কিছুই করতে পারবেন আপনার মোবাইল দিয়েই। আপনি যদি ইতিপূর্বে ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করে থাকেন তবে নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন এটি তৈরি করা হয়েছে মূলত মোবাইলে ব্যবহার করার জন্য।

বর্তমান সময়ে ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং একটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম। ইনস্টাগ্রাম মূলত একটি ফটো এন্ড ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম। যেখানে আপনি আপনার ইন্টারেস্টিং ছবি এবং শর্ট ভিডিও আপলোড করে প্রচুর ফলোয়ার গেইন করতে পারেন। বর্তমান ইনস্টাগ্রামের জনপ্রিয়তার কারণে বিভিন্ন কোম্পানি ও চাচ্ছে তাদের প্রচারণা ইনস্টাগ্রাম এর মাধ্যমে চালিয়ে যেতে। এর ফলে প্রতিনিয়ত ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং এক্সপাটদের চাহিদা বেড়েই চলেছে।
আপনি যদি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম শুরু করতে চান তো ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিংই হবে আপনার জন্য বেস্ট অপশন। আপনি যদি একজন ইনস্টাগ্রাম মার্কেটার হতে পারেন তো আপনি প্রতি মাসে ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা বা তার বেশি ইনকাম করতে পারবেন খুব সহজে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতেও ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং এর অনেক চাহিদা রয়েছে। ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং এর মাধ্যমে কি কি উপায়ে আপনি ইনকাম করতে পারবেন চলুন জেনে নেইঃ

ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং করে আয় করার সেরা ৪ টি উপায়

পণ্যের বিজ্ঞাপন দিয়ে - আপনি যদি কোন একটি বিষয়ের উপরে একাউন্ট তৈরি করে থাকেন এবং আপনার অ্যাকাউন্ট যদি জনপ্রিয় হয়ে থাকে তো ওই বিষয়ের বিভিন্ন ধরনের পণ্যের বিজ্ঞাপন দিয়ে আপনি আয় করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলোই আপনার সাথে যোগাযোগ করবে এবং তাদের প্রোডাক্টের প্রচারণা চালাবে নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে।

সাইট আউট বিক্রি করে আয় - সাইট আউট বলতে বোঝায় আপনার জনপ্রিয় একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে আপনি অন্য ছোট একটি অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে পোস্ট করেন বা আপনার ফলোয়ারের সাথে তাকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া। এতে করে ছোট একাউন্টগুলো নতুন অনেক ফলোয়ার পাই এবং অনেক দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিংয়ে চাইলে আপনি এই মাধ্যমে অনেক টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

লিড জেনারেশন বিজনেস করে আয় - আপনি হয়তো এর আগে কখনো লিড জেনারেশন বিজনেসের কথা শুনেননি, তবে চিন্তার কোন কারণ নেই আমি আপনাদের বিস্তারিত বলছি। লিড জেনারেশন বিজনেস হল এমন একটি বিজনেস যেখানে আপনার নিজের কোন ব্যবসা নেই। ধরুন আপনি ইনস্টাগ্রাম এ ল্যাপটপ ও কম্পিউটারের ওপর টিউটোরিয়াল ভিডিও পাবলিশ করে থাকেন তো কোন একজন আপনার কাছে জানতে চাইলো আপনাদের কাছে কি ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের কোন সার্ভিসিং ব্যবস্থা আছে?
 
আপনি হয়তো বলবেন না বা আপনি এখান থেকেই শুরু করতে পারেন আপনার লিড জেনারেশনের বিজনেস। এক্ষেত্রে যাদের কম্পিউটার ও ল্যাপটপ সার্ভিসিং বিজনেস আছে তাদের সাথে যোগাযোগ করে আপনি জানাতে পারেন, আপনার কাছে তাদের কাঙ্খিত কাস্টমার আছে। আপনি তার সাথে যোগাযোগ করিয়ে দিবেন এবং এর জন্য কিছু কমিশন চার্জ করবেন। সাধারণত কোন কোম্পানি এমন রেডি কাস্টমার ছাড়তে চাইনা। এভাবেই ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে আপনি লিড জেনারেশন বিজনেস করে ইনকাম করতে পারবেন।

একাউন্ট বিক্রি করে আয় - একাউন্ট বিক্রি করে আপনি এককালীন একটি বড় এমাউন্ট ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমানে অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে আপনি আপনার একাউন্ট বিক্রির জন্য লিস্ট করে রাখতে পারবেন সেখান থেকে তাদের সাথে যোগাযোগ করে আপনার একাউন্ট বিক্রি করতে পারবেন। আপনার অ্যাকাউন্ট জনপ্রিয় হয়ে থাকলে অনেকেই মেসেজের মাধ্যমে আপনার অ্যাকাউন্ট কিনে নেওয়ার বিষয়ে কথা বলবে।

মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মাধ্যমে আয়

মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন করেও এখন আয় করা যায়। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর কথা বলতে গেলে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কথাটি চলে আসে। কারণ বর্তমানে জনপ্রিয় একটি ফ্রিল্যান্সিং ক্যাটাগরি হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইন। গ্রাফিক্স ডিজাইনের মাধ্যমে আপনি প্রতি মাসে লক্ষাধিক বা তারও বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। হ্যাঁ, আপনি চাইলে মোবাইল দিয়েও গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করতে পারেন।

মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন করার জনপ্রিয় কিছু অ্যাপস হচ্ছেঃ
  • Canva
  • PixelLab
  • Picsart
  • Logo Maker 
  • KineMaster

মোবাইল দিয়ে ট্রান্সলেট জব করে আয়

মোবাইল দিয়ে ট্রান্সলেট জব করে আয় কথাটি পড়েই বুঝতে পেরেছেন নিশ্চয়ই এটি এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় রূপান্তর করার কাজ। আপনি যদি একের অধিক ভাষা জেনে থাকেন তো খুব সহজেই এই কাজটি করতে পারবেন। বর্তমানে ইউটিউব বা অন্যান্য মিডিয়ার জন্য ভিডিওর কনটেন্ট সবাই চাই এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় রূপান্তর করতে। যার ফলে এই ট্রান্সলেশন কাজের চাহিদা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর গুলোতেও  এই কাজের চাহিদা অনেক রয়েছে। আর হ্যাঁ, মোবাইল এর মাধ্যমেও ট্রান্সলেট জবটি করা যায় খুব সহজে। আপনি যদি একের অধিক ভাষায় পারদর্শী হয়ে থাকেন তো এই ট্রান্সলেট জব এর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করে আপনি মোবাইল দিয়েই টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাই আপনি চাইলেই মোবাইল দিয়ে ট্রান্সলেট জবটি আজই শুরু করতে পারেন।

মোবাইল দিয়ে কাস্টমার সাপোর্টের কাজ করে আয়

মোবাইল দিয়ে কাস্টমার সাপোর্টের কাজ হচ্ছে ফোন কলের মাধ্যমে সেবা দেওয়া। অনেক বড় বড় কোম্পানি আছে যারা তাদের কাস্টমারকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য ফোন কল সার্ভিসের লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে। আপনি হয়তো বিভিন্ন প্রয়োজনে বিভিন্ন সিম অপারেটর বা ব্যাংকিং সেবা গুলো ব্যবহার করে থাকবেন, সে ক্ষেত্রে যদি আপনার কোন প্রবলেম হয় আপনি হয়তো তাদের হেল্প লাইনে ফোন দিয়েছেন।

ফোন দিলে দেখবেন কোন একটি ভদ্র ব্যক্তি আপনার সঙ্গে কথা বলে আপনার প্রবলেমটি সলভ করে থাকে, এটি হচ্ছে মোবাইল দিয়ে কাস্টমার সাপোর্টের কাজ। আপনি চাইলে এমন নিয়োগে জয়েন করতে পারেন এজন্য আপনার সুন্দর ও গুছিয়ে কথা বলা জানতে হবে। আর হ্যাঁ এই কাজটি আপনি মোবাইলের মাধ্যমেই করতে পারবেন।

মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়

মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। আপনি ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক এ বিনোদনের জন্য যে সময়টা ব্যয় করছেন সেই সময়টা দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্রতি মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা খুব সহজে ইনকাম করতে পারবেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে কমিশনের মাধ্যমে অন্যের কোম্পানির প্রোডাক্টের মার্কেটিং করে দেওয়া। এক্ষেত্রে আপনি অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের প্রচার বা পণ্যের মার্কেটিং করবেন। 

যদি কেউ আপনার প্রচার কাজের মাধ্যমে কোন পণ্য কিনে সেখান থেকে আপনি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পাবেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার জন্য আপনাকে প্রথমে একটি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে নিবন্ধন করতে হবে। এরপরে আপনি তাদের লিংক, ব্যানার বা ডেমো পোডাক্ট আপনার ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম, ব্লগ ইত্যাদির মাধ্যমে প্রচার করতে পারবেন। কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ছাড়াই মোবাইল ফোন দিয়েই আপনি এই কাজটি করতে পারবেন।

মোবাইল দিয়ে সিপিএ মার্কেটিং করে আয় করার উপায়

মোবাইল দিয়ে সিপিএ মার্কেটিং করে আয় করা যায়। CPA মার্কেটিং এর পূর্ণরূপ হলঃ Cost Per Action। এটি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মতোই একটি মাধ্যম, তবে এখানে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর থেকে কাজ তুলনামূলক অনেক সহজ এবং ইনকামও কিছুটা কম। সাধারণত কোম্পানিগুলো তাদের নির্দিষ্ট কাস্টমারের তথ্য জানার জন্য এ ধরনের মার্কেটিং করে থাকে। যেখানে তারা বিভিন্ন ফ্রি অফারের বিনিময়ে কাস্টমারের ফোন নাম্বার, ইমেইল বা জিপ কোড নিয়ে থাকে।

সিপিএ মার্কেটাররা কমিশনের মাধ্যমে এ ধরনের কাজগুলো নিয়ে থাকে। আপনি যদি ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং টা ভালোভাবে বোঝেন তাহলে CPA মার্কেটিং টা আপনার কাছে অনেক সহজ মনে হবে। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করার জনপ্রিয় একটি অপশন হচ্ছে সিপিএ মার্কেটিং। ওয়ার্ল্ডের পপুলার কিছু CPA Network হচ্ছেঃ
  • MaxBountry
  • Advidi
  • CrakRevenue
  • AdWork Media

মোবাইল দিয়ে ফটোগ্রাফি করে আয় করুন

মোবাইল দিয়ে ফটোগ্রাফি এটি অনেকের ই শখের একটি বিষয়। আপনার ফোনের ক্যামেরাটি যদি একটু ভালো মানের হয় তাহলে আপনি ফোন দিয়ে তোলা ছবি বা ভিডিও বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন। আপনি চাইলে মোবাইল দিয়ে ফটোগ্রাফি শখটি আপনার পেশাতে রূপান্তর করতে পারবেন এজন্য প্রয়োজন হবে একটু ভালো মানের ক্যামেরাযুক্ত ফোন। মোবাইল ফটোগ্রাফি বিক্রির কিছু জনপ্রিয় সাইট হলোঃ
  • শাটারস্টক
  • ফোপ
  • আইএম
  • স্ন্যাপওয়্যার

মোবাইল দিয়ে ব্লগিং করে আয়

মোবাইল দিয়ে ব্লগিং করে অনলাইন এর মাধ্যমে ইনকাম করা খুবই একটা ইন্টারেস্টিং বিষয়। আপনি চাইলেই ব্লগিং করে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করতে পারেন। এজন্য অবশ্যই আপনাকে একটি ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে হবে এবং আপনাকে ব্লগিং সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। এই ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু টাকা ইনভেস্ট করতে হবে ওয়েবসাইটের ডোমেন এবং হোস্টিং কেনার জন্য। আপনি চাইলে মোবাইল ফোন দিয়েও ব্লগিং শুরু করতে পারেন।
এক্ষেত্রে মোবাইল ফোনটি সাধারণত ৪ জিবি র‍্যাম ও ৬৪ জিবি রম আর ভালো মানের প্রসেসর যুক্ত  হলে মোটামুটি ভালোভাবে ব্লগিং করে মজা পাবেন। এর থেকে কম কনফিগারেশন এর মোবাইল হলে কাজ করতে কিছু অসুবিধা হতে পারে। মোবাইল দিয়ে ব্লগিং এর ক্ষেত্রে  Blogger, Word Press, Medium অ্যাপ গুলো দিয়ে কাজ করতে পারবেন।

মোবাইল দিয়ে কনটেন্ট রাইটিং করে আয়

মোবাইল দিয়ে কনটেন্ট রাইটিং এর মাধ্যমে আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং যাত্রা শুরু করতে চান তো আপনাকে ইংরেজি ভাষায় পারদর্শী হতে হবে। আপনি যদি ইংরেজি ভাষায় কন্টেন্ট রাইটিং করতে পারেন তাহলে কন্টেন্ট রাইটার হিসাবে প্রতিমাসে আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। মোবাইলের কিছু অ্যাপ রয়েছে যেমনঃ Grammarly বা Microsoft Word যা আপনাকে স্পেলিং এবং ভাষার ত্রুটি দেখাবে এবং সঠিকভাবে লেখা হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।

এছাড়াও কিছু অ্যাপস Google Docs, Evernote, স্পেশালাইজড রাইটিং অ্যাপস যেগুলো মোবাইল ডিভাইসে সাপোর্ট করে। সেগুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে ভালো মানের কনটেন্ট রাইটিং করে মোবাইল দিয়েই আপনি চাইলে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। মোবাইল দিয়ে আর্টিকেল রাইটিং করে আয় কিন্তু মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য ভালো একটি উপায়।

লেখকের মন্তব্যঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম

বর্তমান সময়ে আমারদের ব্যবহৃত স্মার্ট মোবাইল ফোন গুলো অনেক উন্নত, চাইলেই আমরা সেগুলো দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারি। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার সেরা ১২টি উপায় নিয়ে উপরে আলোচনা করা হয়েছে। আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয় মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য সবথেকে বেস্ট অপশন হবে ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং কারণ ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং এর সকল কাজ মোবাইল দিয়েই করা যায়। 

তবে কি মোবাইল দিয়েই ফ্রিল্যান্সিং এর সব কাজ করা যায়? মোটেও না। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে অনেক সময় আমাদের না, না জটিলতার সম্মুখীন হতে হয়। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর সেরা ১২টি উপায় আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লাগে  অবশ্যই কমেন্ট ও শেয়ার করতে ভুলবেন না। বিভিন্ন ক্যাটাগরির আপডেট আর্টিকেলগুলো পড়তে RIPONTECH24 হোম পেজটি ভিজিট করুন, আশা করি উপকৃত হবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

RIPONTECH24 এর নীতিমালা মেনে আমাদের ওয়েব সাইটে আপনার মূল্যবান কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ। আমরা আপনাদের প্রতিটি কমেন্টের রিভিউ করে থাকি ।

comment url