গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা কালো হয় - গর্ভাবস্থায় খাবার তালিকা
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা কালো হয় এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ আপনার কিছু ভুল খাবার গ্রহণের ফলে আপনার পেটের বাচ্চার রং কালো হতে পারে। যদিও পেটের বাচ্চার রং কালো বা ফর্সা হওয়া এটি সম্পূর্ণ আল্লাহ তায়ালার উপর নির্ভর করে।
প্রতিটি গর্ভবতী মায়েরই আশা থাকে তার সন্তান যেন সুন্দর, সুস্থ এবং মেধাবী হয়ে পৃথিবীতে আসে। আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করতে চলেছি গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা কালো হয় এবং গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় এবং গর্ভাবস্থায় খাবার তালিকা নিয়ে।
পোস্ট সূচীপত্রঃ গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা কালো হয় - গর্ভাবস্থায় খাবার তালিকা
- গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা কালো হয় জেনে নিন
- গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় জানুন
- গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয় জেনে নিন
- গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চার ওজন বাড়ে
- গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা লম্বা হয়
- গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে না
- গর্ভাবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে না
- গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না
- গর্ভাবস্থায় টক খাওয়া যাবে কি জেনে নিন
- লেখকের মন্তব্য
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা কালো হয় জেনে নিন
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা কালো হয় এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় কারণ
গর্ভাবস্থায় প্রতিটি মা চাই তার সন্তান সুস্থ ও সুন্দরভাবে পৃথিবীতে আসুক।
প্রত্যেকটা মেয়ে আশা করে তার সন্তান যেন ফর্সা ও সুন্দর হয়। তবে গর্ভাবস্থায়
কিছু খাবার খেলে আপনার পেটের সন্তান কালো হতে পারে হয়তোবা এই সম্পর্কে অনেকেরই
ধারণা নেই। গর্ভাবস্থায় কোন খাবারগুলো খাওয়া উচিত এবং কোন খাবারগুলো
এড়িয়ে চলা উচিত জানতে পুরো পোস্টটি পড়তে থাকুন।
সাধারণত গর্ভাবস্থায় বাচ্চার রং কালো হওয়ার চারটি কারণ হচ্ছেঃ ১। বাবা-মায়ের জীনের ওপর নির্ভর করে ২। মেলালিন হরমোনের ওপর নির্ভর করে ৩। পরিবেশ এবং আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে ৪। বাবা-মায়ের খাদ্যাভাসের ওপর নির্ভর করে। গর্ভাবস্থায় সন্তান ফর্সা বা কালো হওয়া এটি আল্লাহ তাআলার উপর নির্ভরশীল। যদিও কিছু খাদ্যাভাস এবং আবহাওয়া পরিবর্তনের উপর গর্ভাবস্থায় বাচ্চা কালো বা ফর্সা হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ ডায়াবেটিস রোগীর কাঁচা সজনে পাতার উপকারিতা
বিভিন্ন দোকান থেকে কেনা প্যাকেটজাত ফলের রস, অতিরিক্ত চিনি জাতীয় খাবার, অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার, অ্যালকোহল যুক্ত খাবার, বিভিন্ন সফট ডিংক্স, কলিজা, ফাস্টফুড এ ধরনের খাবার গুলো থেকে গর্ভাবস্থায় একটু এড়িয়ে চলা উচিত। এই খাবারগুলো খাওয়ার ফলে আপনার পেটের সন্তান কালো এবং অস্বাস্থ্যকর হতে পারে। গর্ভাবস্থায় কোন খাবার গুলো খেলে আপনার সন্তান ফর্সা, বুদ্ধিমান এবং সুস্বাস্থ্যবান হবে চলুন সেগুলো সম্পর্কে জেনে নিই।
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় জানুন
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়, অনেকেই এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে থাকে। কারণ প্রত্যেকটি গর্ভবতী মা ইয় চায় তার গর্ভের সন্তান যেন সুন্দর, সুস্বাস্থ্যবান এবং বুদ্ধিমান হয়ে ওঠে।গর্ভাবস্থায় বাচ্চার রং কালো বা ফর্সা হওয়া এটি পুরোপুরি খাদ্যাভাসের উপর নির্ভরশীল বিষয়টি এমন নয়। বাবা-মায়ের জিনের ওপর নির্ভর করে সন্তানের গায়ের রং নির্ধারিত হয়ে থাকে। হ্যাঁ তবে গর্ভাবস্থায় মায়ের খাদ্যাভাস এবং আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে বাচ্চার রং পরিবর্তন হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় কিছু খবার খাওয়ার ফলে আপনার সন্তান ফর্সা, সুন্দর এবং সুস্বাস্থ্যবান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে চলুন সেই খবর গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিইঃ
টমেটো - লাইকোপেন থাকে টমেটোতে, যা আলট্রা ভায়োলেট এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে সূর্যের আলোর ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় টমেটো খেলে বাচ্চার রঙ ফর্সা হয় এমনটি বিশ্বাস করা হয়।
কমলা ও লেবু - কমলা ও লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি। যা শিশুর শরীর গঠনের জন্য
অপরিহার্য একটি বিষয় এবং কমলা ও লেবু খাওয়ার ফলে সন্তানের ত্বক ফর্সা হওয়ার
সম্ভাবনা থাকে।
চেরি ও বেরি ফল - চেরি ও বেরি জাতীয় ফলে উচ্চমাত্রার অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে। যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে অনেক সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় ব্ল্যাক বেরি, স্ট্রবেরি, ব্লু বেরি ইত্যাদি ফল খাওয়ার ফলে গর্ভের সন্তান ফর্সা হয়ে থাকে।
ডিম - প্রচলিত কথা অনুযায়ী মনে করা হয় ডিম এর সাদা অংশ খেলে সন্তান ফর্সা
হয়। ডিমের অধিকাংশ পুষ্টি উপাদান থাকে ডিমের কুসুমে। এজন্য ডিমের কুসুম সহ ডিম
খাওয়ার ফলে যেমন গর্ভের সন্তান ফর্সা ও সুন্দর হয় তেমনি সুস্বাস্থ্যবান হয়ে
ওঠে।
জাফরান ও দুধ - অনেকেই গর্ভের সন্তান ফর্সা খাওয়ার জন্য জাফরান ও দুধ
একসাথে খেয়ে থাকেন। দুধে অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে যা আপনার বাচ্চা সুস্বাস্থ্য
গঠনে অনেক সহায়তা করবে।
নারিকেল - নারিকেলের সাদা শ্বাস গর্ভাবস্থায় শিশুর বর্ণ ফর্সা করতে অনেক কার্যকর ভূমিকা রাখে। তবে গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত নারিকেল খাওয়া মোটেও স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এজন্য গর্ভাবস্থায় নারিকেল পরিমাণ মতো খাওয়া উচিত।
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয় জেনে নিন
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয় এটি জানা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় কারণ গর্ভাবস্থায় সন্তানের ২৫% ব্রেন ডেভোলপমেন্ট হয় এবং বাকি ৭৫% হয় জন্মের পরে। গর্ভাবস্থায় কি ধরনের খাবার খাওয়া উচিত এটি নিয়ে অনেকেই চিন্তিত থাকেন। গর্ভাবস্থায় খাবার খাওয়ার জন্য একটি খাদ্য তালিকা তৈরি করা উচিত, যাতে আপনার বাচ্চার ব্রেন ডেভোলপ সহ সুস্বাস্থ্য সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত হয়।
গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত খাবার খাওয়াও উচিত নয়। তাই সব ধরনের খাবার অতিরিক্ত না খেয়ে গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয় সে খাবারগুলো সম্পর্কে চলুন জেনে নিইঃ
মাছ - বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক মাছ যেমনঃ স্যামন, টুনা, ম্যাকারেল
ইত্যাদি। এগুলো ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এ্যাসিড সমৃদ্ধ, যা সন্তানের মস্তিষ্ক বিকাশে
অনেক গুরুত্বপূর্ণ। একটি গবেষণায় দেখা যায় যেসব মায়েরা
গর্ভাবস্থায় সপ্তাহে দুই দিনের বেশি মাছ খেয়ে থাকে, তাদের সন্তানদের
বুদ্ধিমান ও আইকিউ হওয়ার সম্ভাবনা বাকিদের থেকে অনেক বৃদ্ধি পায়।
ডিম - অ্যামিনো এসিড কোলিন সমৃদ্ধ খাবার হচ্ছে ডিম। যা মস্তিষ্কের গঠন ভালো করতে এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে। গর্ভবতী মায়েদের প্রতিদিন দুটি করে ডিম খাওয়া উচিত। এতে করে ডিমে থাকা প্রোটিন ও আয়রন সন্তানের বুদ্ধিমত্তা এবং ওজন বাড়াতে অনেক সাহায্য করে।
আরো পড়ুনঃ ইসবগুলের ভুসি ও তোকমা খাওয়ার উপকারিতা
ভিটামিন ডি - ভিটামিন ডি শিশুর মস্তিষ্ক গঠনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে সব গর্ভবতী মায়েদের ভিটামিন ডি প্রয়োজনের তুলনায় কম থাকে তাদের সন্তানদের বুদ্ধিমত্তা কম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। মাংস, ডিম, পনির, লিভার এ খাবার গুলোতে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। এছাড়াও সূর্যের আলোতে রয়েছে ভিটামিন ডি।
আয়রন - আয়রন সন্তানের ব্রেন বিকাশে অনেক ভূমিকা পালন করে।
গর্ভাবস্থায় সন্তানের ব্রেন বিকাশের জন্য বেশি বেশি আয়রন জাতীয় খাবার
খাওয়া উচিত। কলিজা, ডাল, সিদ্ধ আল, পালং শাক এগুলো আয়রন জাতীয় খাবার।
ব্লুবেরি - ব্লুবেরি ফল, ডাটা, টমেটো, এ জাতীয় খাবার গুলোতে রয়েছে
প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। গর্ভাবস্থায় এ জাতীয় খাবার গুলো খাওয়ার
ফলে আপনার সন্তানের মস্তিষ্কের টিস্যু বিকাশে সাহায্য করবে।
এছাড়াও প্রোটিন যুক্ত খাবার যেমন মাছ, মাংস, পাঁচমিশালী ডাল,
সীড গর্ভাবস্থায় এগুলো নিয়মিত খেলে শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশে অনেক সাহায্য
করে। ফলিক অ্যাসিড ও আইরন রয়েছে শুকনো ফল, কলা, পুদিনা পাতা, সবুজ
শাকসবজিতে যা গর্ভাবস্থায় শিশুর বুদ্ধিমত্তা বাড়াতে সাহায্য করে।
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চার ওজন বাড়ে
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চার ওজন বাড়ে এই বিষয়ে আমাদের অনেক সতর্ক থাকতে হবে। কারণ গর্ভাবস্থায় মায়ের সঠিক খাদ্যাভাসের অভাবে অনেক শিশু অপুষ্টিতে ভোগে শারীরিক গঠন, বুদ্ধিমত্তা, এবং সুস্থতা অনেক হ্রাস পায়। এজন্য গর্ভাবস্থায় মাকে পুষ্টিকর খাবার খেয়ে ওজন বাড়াতে হবে। সাধারণত একজন গর্ভবতী মায়ের ১০ থেকে ১২ কেজি ওজন বৃদ্ধি পেলে যথেষ্ট।
গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসে মায়ের বমি বমি ভাব থাকে এই সময় খাওয়ার অরুচি হয়, এই কারণে প্রথম তিন মাস তেমন ওজন বৃদ্ধি না পাওয়া স্বাভাবিক। জন্মের সময় শিশুর ওজন কম হলে অপুষ্টি, অসুস্থতা এবং বুদ্ধিমত্তা হ্রাস সহ অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চার ওজন বাড়ে চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক সেই খাবার গুলো সম্পর্কেঃ
ফলমূল ও শাকসবজি - ফলমূল ও শাকসবজিতে রয়েছে ভিটামিন মিনারেল ও খাদ্য আঁশ
যা শিশুর দৈহিক বৃদ্ধি ও বিকাশে অনেক সহায়তা করে। এছাড়াও কলা, আপেল,
পেয়ারা, পালং-শাক, পাঁচমিশালি ডাল এগুলো বেশি বেশি খেতে পারেন। ভিটামিন সি
সমৃদ্ধ ফলমূল যেমন কমলালেবু, লেবু, বাতাবি লেবু এগুলো বেশি বেশি খাওয়া
উচিত এতে করে বাচ্চার শারীরিক গঠন বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি বুদ্ধিমত্তাও
অনেক বৃদ্ধি পাবে।
প্রোটিন - বেশি বেশি প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত এতে শিশুর শারীরিক
গঠন উন্নত হয়। প্রোটিন যুক্ত খাবারগুলো হচ্ছে মটরশুঁটি, বাদাম, সয়াবিন, ডিম,
মাছ ইত্যাদি। খেজুর, কিসমিস, নরম খিচুড়ি এগুলোও বেশি বেশি খেতে পারেন।
দুধ ও দুগ্ধ জাত খাবার - দুধ ও দুগ্ধ জাত খাবার যেমন দই, মিষ্টি,
পনির, ঘি এগুলো অনেক ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ। গর্ভাবস্থায় এগুলো খাওয়ার
ফলে গর্ভের সন্তানের ওজন বৃদ্ধির পাশাপাশি শারীরিক গঠন ও হার গঠনেও অনেক সাহায্য
করে। ডিমের কুসুম, কলিজা, কমলা, কচু শাক, ছোট মাছ এগুলোতে রয়েছে ক্যালসিয়াম।
ক্যালসিয়াম গর্ভাবস্থায় শিশুর শারীরিক গঠন বৃদ্ধিতে অনেক সহায়তা
করে।
পানি - একজন গর্ভবতী মাকে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করতে হবে।
এতে শিশুর স্বাস্থ্য ভালো থাকার পাশাপাশি তার শরীরে পুষ্টির শ্বসন নিশ্চিত হবে
ফলে শিশুর ওজন বৃদ্ধি পাবে।
ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড - এটি শুধু শিশুর মস্তিষ্ক গঠনে সাহায্য করে না
বরং শিশুর শারীরিক গঠনেও অনেক সাহায্য করে। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত
খাবার যেমনঃ তেলযুক্ত মাছ কি, বীজ জাতীয় খাবার, চিয়া সিড, আখরোট এগুলো
নিয়মিত গ্রহণ করতে পারেন।
এছাড়াও আয়রন ও ফলিক অ্যাসিড যুক্ত খাবার যেমনঃ পাঁচমিশালি ডাল, পালং শাক, কলিজা
এগুলো পরিমাণ মতো গ্রহণ করতে হবে এতে শিশুর ওজন ও শারীরিক গঠন বৃদ্ধিতে অনেক
সহায়তা করবে। গোটা শস্য যেমন ব্রাউন চাল, রুটি, ওটামিল ইত্যাদি খাবারগুলোতে
পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য আশ ও ভিটামিন বি পাওয়া যায় যা
গর্ভাবস্থায় শিশুর ওজন বৃদ্ধির পাশাপাশি শারীরিক গঠনেও অনেক সহায়তা
করে।
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা লম্বা হয়
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা লম্বা হয় এটা গর্ভাবস্থায় অনেকেই জানার ইচ্ছা পোষণ করেন কারণ প্রত্যেকে মাই চায় তার সন্তান যেন লম্বা, স্বাস্থবান, বুদ্ধিমান এবং সুন্দর হয়ে থাকে। গর্ভাবস্থায় যে খাবারগুলো খাওয়ার ফলে সন্তান লম্বা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সেগুলো হচ্ছেঃ ১। দুগ্ধ জাতীয় খাবার যেমনঃ দই, মিষ্টি, পনির, ঘি এগুলো খাওয়ার ফলে যেমন সন্তানের হার বৃদ্ধির পাশাপাশি সন্তান লম্বা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
২। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার মাছ, মাংস, ডিম, বিভিন্ন ধরনের ডাল, বাদাম এগুলো হচ্ছে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারের উৎস। গর্ভাবস্থায় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারগুলো শিশুর হাড় বৃদ্ধি সহ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বৃদ্ধি ঘটাতে অনেক সাহায্য করে। ৩। ফোলেট সমৃদ্ধ শাকসবজি খাওয়ার ফলেও গর্ভের সন্তান লম্বা হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। ফোলেট সমৃদ্ধ খাবারগুলো হচ্ছেঃ ক্যাপসিকাম, ফুলকপি, মিষ্টি আলু, গাজর, পালং-শাক এগুলো গর্ভাবস্থায় নিয়মিত খাওয়া উচিত।
৩। বিভিন্ন ধরনের ফল যেমন কলা, কমলা, তরমুজ, আপেল এগুলোতে সাইট্রাস, ফাইবার ও পটাশিয়াম থাকে যা গর্ভাবস্থায় শিশুর সঠিক বৃদ্ধিতে অনেক সাহায্য করে। ৪। ভিটামিন ডি গর্ভাবস্থায় বাচ্চার হাড় বিকাশে ও হাড়কে মজবুর করতে অনেক সাহায্য করে। ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার যেমন, ডিম, রুই, কাতল, মৃগেল মাছ এগুলো আপনি বেশি বেশি খেতে পারেন। ৫। আইরন ও ফলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবারগুলো খাওয়ার ফলে গর্ভের সন্তান লম্বা হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।
আইরন ও ফলিক অ্যাসিড যুক্ত খাবারগুলো খাওয়ার পাশাপাশি আপনি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আইরন ও ফলিক অ্যাসিড ট্যাবলেট গ্রহণ করতে পারেন এতে করেও আপনার গর্ভের শিশু লম্বা হওয়ার অনেক সম্ভাবনা রয়েছে।
গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে না
গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবেনা এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে রাখা গর্ভবতী মায়েদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একজন গর্ভবতী মায়ের অনেক স্বপ্ন থাকে একটি সুন্দর সন্তান সুস্থভাবে পৃথিবীতে নিয়ে আসা। সাধারণত আমরা জানি সবজিতে অনেক উপকারিতা রয়েছে কিন্তু উপকারিতার জন্য হয়তো বা কিছু সবজি অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে বরং ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এজন্য গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবেনা তাহলে চলুন জেনে নিইঃ
করলা - মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী একটি সবজি হলেও গর্ভাবস্থায়
মায়ের জন্য তা ক্ষতির কারণ হতে পারে। করলাতে রয়েছে গ্লাইকোলাইসিস, সেপোনিক,
মারোডিসিন নামক পদার্থ যা গর্ভবতী মহিলার অনেক ধরনের উপসর্গ সৃষ্টি করতে পারে এবং
গর্ভাবস্থায় সন্তানের ক্ষতি সাধন করতে পারে।
কাঁচা পেঁপে - কাঁচা পেঁপে পুষ্টিকর সবজি হিসেবে বিবেচিত হলেও গর্ভাবস্থায় কাঁচা পেঁপে না খাওয়াই ভালো। কাঁচা পেঁপেতে উচ্চমাত্রায় ল্যাটেক্স থাকে যা গর্ভাবস্থায় খেলে গর্ভের সন্তানের ক্ষতি করতে পারে। তবে পাকা পেঁপে খেতে কোন সমস্যা নেই, পাকা পেঁপে তে রয়েছে ভিটামিন সি, যা গর্ভাবস্থায় সন্তানের জন্য অনেক উপকারী।
সজিনা - এটা অনেক জনপ্রিয় এবং পুষ্টিকর সবজি হলেও গর্ভকালীন সময়ে এটি না
খাওয়াই ভালো। কারণ সজিনাতে রয়েছে 'আলফা সিটেস্টেরল' নামক এক ধরনের উপাদান যা
অনেক সময় গর্ভবতী মায়ের গর্ভপাত ও ঘটাতে পারে।
বেগুন - বেগুন ছাড়া হয়তো আমাদের মাছের তরকারি জমেই না। কিন্তু বেগুন
অনেক জনপ্রিয় একটি তরকারি হলেও গর্ভাবস্থায় বেগুন খাওয়া অনেক ক্ষতি। কারণ
বেগুনে রয়েছে ফাইটোহরোমনস যা গর্ভাবস্থায় ঋতুস্রাব হওয়ার সম্ভাবনা
থাকে এবং এলার্জির সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় বেগুন খাওয়া
এড়িয়ে চলাই ভালো।
কাঁচা মূলা - কাঁচা মূলা তে রয়েছে লিসটেবিয়া, সালমোনিলা, ওই. কোলির মতো ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া। যা গর্ভাবস্থায় অনেক ক্ষতির কারণ হতে পারে, তাই কাঁচা মূলা ও রেডি-টু-ইট সালাদ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
শিম - শিম গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্য ও গর্ভের সন্তানের জন্য
অনেক ক্ষতি হতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় সিম খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।
গর্ভাবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে না
গর্ভাবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবেনা চলুন জেনে নেই। গর্ভাবস্থা একটি মায়ের জন্য অনেক স্বপ্নের একটি সময়, প্রত্যেকটা মাই চায় তার সন্তান যেন সুস্থ সুন্দরভাবে পৃথিবীতে আসুক। অন্যান্য সময় নিয়ম মেনে খাবার না খেলেও গর্ভাবস্থায় অবশ্যই নিয়ম মেনে খাবার খাওয়া উচিত। এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা কালো হয়, গর্ভাবস্থায় খাবার তালিকা সম্পর্কে। চলুন এবার জেনে নিয় গর্ভাবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে নাঃ
তেলাপিয়া - এই মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্ষতি কারক ফ্যাট, যা শরীরের
কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। তাই গর্ভাবস্থায় তেলাপিয়া মাছ খাওয়া একদমই
উচিত নয়।
পাঙ্গাস মাছ - পাঙ্গাস মাছ বেশি অংশ কারখানায় চাষ করা হয়ে থাকে। পাঙ্গাস মাছের স্বাদ বাড়ানোর জন্য ফার্মে চাষের সময় রাসায়নিক সার ও বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক প্রয়োগ করে। ফেলে এতে উপকারের থেকে অপকারের সম্ভাবনা বেশি। তাই গর্ভাবস্থায় পাঙ্গাস মাছ না খাওয়াই ভালো।
আরো পড়ুনঃ ডায়াবেটিস রোগীর কাঁচা সজনে পাতার উপকারিতা
সিভিচ - সিভিচ হচ্ছে সামুদ্রিক মাছ এতে রয়েছে প্রোটিন, খনিজ উপাদান,
আয়রনে পরিপূর্ণ। যা একজন সাধারণ মানুষের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সমূহ।
কিন্তু এই মাছ গর্ভাবস্থায় শারীরিক জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে তাই গর্ব
অবস্থায় এই মাছ খাওয়া অনিরাপদ।
টাইল ফিশ - গর্ভাবস্থায় নিষিদ্ধ মাছের তালিকায় আরো একটি হচ্ছে টাইল ফিস।
এই মাছে প্রোটিন, নিউট্রিশনে পরিপূর্ণ যা স্বাভাবিক মানুষের জন্য ক্ষতির কারণ না
হলেও, গর্ভবতী মায়ের জন্য এটি বেশ ক্ষতিকর।
সোর্ডফিশ বা তলোয়ার মাছ - এটি অনেক জনপ্রিয় একটি সামুদ্রিক মাছ। প্রায়
সময় সমুদ্রে এই মাছটি স্বীকার করা হয় পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই এটি সহজলভ্য। এই
মাছে থাকে নিউরো টক্সিন যা গর্ভবতী মায়ের জন্য ক্ষতির কারণ। তাই গর্ভাবস্থায় এই
মাছ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
সাশিমি - এটি সমস্ত পুষ্টিগুণে ভরা একটি মাছ। যা সাধারণ মানুষের জন্য অনেক
উপকারী। কিন্তু এ মাছে রয়েছে কিছু খনিজ উপাদান, যা গর্ভবতী মায়েদের শরীরের সাথে
মানিয়ে নিতে পারে না। তাই গর্ভকালীন সময়ে এই মাছ খাওয়া ক্ষতির কারণ।
গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না
গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না চলুন জেনে নিই। গর্ভাবস্থায় অবশ্যই আমাদের স্বাস্থ্যকর ডায়েটের প্রয়োজন। একটি সুস্থ গর্ভবতী মায়ের প্রতিদিন অতিরিক্ত ৩০০ ক্যালোরি প্রয়োজন যা বিভিন্ন ফল, সবজি, দানা শস্যর সংমিশ্রণ থেকে আসা উচিত। আমরা জানি ফল আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। তবে বিভিন্ন কারণে গর্ভাবস্থায় কিছু ফল ক্ষতির কারণ হতে পারে। গর্ভাবস্থায় কিছু ফল শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
আবার অনেক ফল প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান শরীর থেকে বের করে দেয়। তাই ফলের বিরূপ প্রভাব এড়াতে ফল খাওয়ার আগে অবশ্যই জেনে নেওয়া উচিত গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবেনা। তাহলে চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে নেই গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবেনাঃ
পেঁপে - গর্ভাবস্থায় পেঁপে খাওয়া উচিত নয় কারণ এটি শরীরে তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। পেঁপেতে রয়েছে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট ও ভিটামিন যা শরীরের জন্য অনেক উপকারী হলেও পেঁপেতে থাকা ল্যাটেক্স উপাদান গর্ভবতী মায়ের প্রসবের নির্দিষ্ট সময় আগে পেটে টান ধরাই। এমনকি এটি গর্ভপাতের ও কারণ হতে পারে তাই গর্ভাবস্থায় পেঁপে খাওয়া উচিত নয়।
আনারস - আনারসে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পুষ্টি উপাদান থাকলেও গর্ভবতী মহিলাদের অতিরিক্ত উষ্ণ ফল খাওয়া উচিত নয়। আনারসে থাকা ব্রোমেলিন নামক এনজাইমটি প্রোটিনকে ভেঙ্গে দেয়, ফলে জরায়ুতে অত্যন্ত যন্ত্রণা হতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় আনারস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
তরমুজ - এটি গ্রীষ্মকালীন অনেক জনপ্রিয় একটি ফল। তবে গর্ভাবস্থায় তরমুজ না খাওয়া উচিত কারণ এটি শরীরে উৎপন্ন টক্সিন ও প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান শরীর থেকে বের করে হাইড্রেট করে। ফলে শিশুর শরীরে বিভিন্ন বিষের প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই গর্ভাবস্থায় তরমুজ খাওয়া উচিত না।
খেজুর - খেজুর একজন স্বাভাবিক মানুষের জন্য অনেক স্বাস্থকর ও প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ একটি ফল। এতে আইরন ও অন্যান্য খনিজ পদার্থ রয়েছে, কিন্তু এটি গর্ভবতী মায়ের খাওয়া উচিত নয়। কারণ খেজুর খুব তাড়াতাড়ি শরীরের তাপমাত্রা বাড়াতে কাজ করে তাই কিছু ক্ষেত্রে খেজুর খেলে জরায়ুতে যন্ত্রনা শুরু হতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।
আরো পড়ুনঃ ইসবগুলের ভুসি ও তোকমা খাওয়ার উপকারিতা
তেতুল - গর্ভাবস্থায় অনেক টক জাতীয় খাবার খেতে ইচ্ছা করে আর তেতুলের কথা তো না বললেই নয়। অধিকাংশ গর্ভবতী মায়েদের গর্ভাবস্থায় পছন্দনীয় ফলের শীর্ষে তেতুল। কিন্তু এই তেতুল অনেক সময় গর্ভাবস্থায় ক্ষতির কারণ হতে পারে কারণ তেতুলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। তাই গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত তেঁতুল খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।
কলা - কলা অনেক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি ফল হলেও যেসব গর্ভবতী মায়েদের এলার্জি ও ডায়াবেটিস এর সমস্যা আছে তাদের কলা এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ কলাতে রয়েছে চিটিনেস যা একটি ল্যাটেক্স জাতীয় উপাদান এটি শরীরের উত্তাপ বাড়ায়। তাই যে সকল গর্ভবতী মায়েদের এলার্জি ও ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়া উচিত নয়।
গর্ভাবস্থায় টক খাওয়া যাবে কি জেনে নিন
গর্ভাবস্থায় টক খাওয়া যাবে কি এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েদের কিছু খাবারের উপর আকৃষ্ট হতে দেখা যায় তার মাঝে টক জাতীয় খাবারের কথা না বললেই নয়। প্রায় অধিকাংশ গর্ভবতী মায়েরই গর্ভ অবস্থায় টক জাতীয় খাবারের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পায়, এ সময় তারা টক জাতীয় খাবার খেতে অনেক পছন্দ করে। গর্ভাবস্থায় কনো খাবার খাওয়ার সময় অবশ্যই আমাদের ওই খাবার সম্পর্কে জেনে বুঝে খাওয়া উচিত।
কারণ প্রতিটি গর্ভবতী মায়ের স্বপ্ন একটি সুস্থ সুন্দর সন্তান পৃথিবীতে নিয়ে
আসা। এমন অনেক খাবার রয়েছে যেগুলো উপকারের আশায় অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে
আপনার গর্ভাবস্থায় ক্ষতির কারণ হতে পারে। গর্ভাবস্থায় টক খাওয়া যাবে
কিন্তু সেটা পরিমাণ মতো কারণ কোন খাবারই অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়া উচিত নয়। এতে
করে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়া লাগতে পারে।
লেখকের মন্তব্য
একটি মেয়ের জন্য গর্ভাবস্থা অনেক স্বপ্নের একটি বিষয়। প্রতিটি গর্ভবতী
মাইয় স্বপ্ন দেখে তার একটি সুন্দর, সুস্থ সন্তান পৃথিবীতে আসুক। একজন গর্ভবতী
মায়ের প্রতিদিন অতিরিক্ত ৩০০ ক্যালোরির প্রয়োজন হয় যা বিভিন্ন ফল, সবজি,
শস্যদানা থেকে গ্রহণ করতে হয়। আমরা জানি শাক-সবজি, ফলমূল এগুলা আমাদের শরীরের
জন্য অনেক উপকারী। কিন্তু উপকারের আশায় অতিরিক্ত ফলমূল ও শাকসবজি আপনার ক্ষতির
কারণ হতে পারে।
"গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা কালো হয়-গর্ভাবস্থায় খাবার তালিকা" আশা করি এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি গর্ভাবস্থায় কি কি খাবার খাওয়া উচিত এবং কোন খাবার কি পরিমাণ খাওয়া উচিত সমস্ত বিষয়গুলো জানতে পেরেছেন। অনলাইন ইনকাম, লাইফ স্টাইল, টেকনোলজি সহ অন্যান্য ক্যাটাগরি আপডেট তথ্যগুলো পেতে RIPONTECH24 হোম পেজটি ভিজিট করুন।
RIPONTECH24 এর নীতিমালা মেনে আমাদের ওয়েব সাইটে আপনার মূল্যবান কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ। আমরা আপনাদের প্রতিটি কমেন্টের রিভিউ করে থাকি ।
comment url