২০২৫ সালের রমজান কত তারিখ এবং সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি

২০২৫ সালের রমজান কত তারিখ ও রমজানের সময়সূচী জানার জন্য আমরা অনেকে কৌতুহল প্রাকাশ করে থাকি কারণ রমজান মাস হচ্ছে রহমত, বরকত ও মাগফিরাতের মাস। আমরা সবাই বেশি সওয়াব লাভের আশায় প্রতিবছর পবিত্র রমজান মাসের জন্য অপেক্ষা করে থাকি।

২০২৫-সালের-রমজান-কত-তারিখ

এছাড়াও রমজানের পরেই উদযাপিত হয় মুসলিমদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর।তাই চলুন এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা জেনে নেই, ২০২৫ সালের রমজান কত তারিখ, সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৫, ২০২৫ সালের রমজান ঈদ কত তারিখ বিস্তারিত।

পোস্ট সূচীপত্রঃ ২০২৫ সালের রমজান কত তারিখ এবং সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি

২০২৫ সালের রমজান কত তারিখ

২০২৫ সালের রমজান কত তারিখ এটি জানার জন্য আমারা মুসলিমরা অনেক কৌতুহল প্রকাশ করে থাকি। কারণ আমরা অপেক্ষায় থাকি প্রতিবছর পবিত্র মাহে রমজান মাস কবে আসবে, আমরা বেশি সওয়াব লাভ করতে পারব এবং আমাদের গুনাহ গুলোকে মাফ করে নিতে পারব। রমজান শেষ হতে না হতেই পরবর্তী বছরের রমজান কবে হবে এটি নিয়ে আমারা অনেক কৌতুহল প্রকাশ করে থাকি। তাই চলুন জেনে নেই, ২০২৫ সালের রমজান কত তারিখ।

২০২৫ সালের রমজান শুরু হবে ১ মার্চ ২০২৫ থেকে। যদিও এটি পুরোপুরি চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকে তারপরও বর্ষপঞ্জিকা অনুযায়ী আমরা ধরে নিতে পারি ২০২৫ সালের প্রথম রমজান হচ্ছে মার্চ মাসের ১ তারিখ। রমজান মাস হচ্ছে রহমত, বরকত ও মাগফিরাতের মাস এই মাসের জন্য সকল ধর্মপান মুসলিমরা অপেক্ষা করে থাকে। মুসলিম জাতির সবথেকে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর এই রমজানের শেষেই।

আরো পড়ুনঃ ম দিয়ে ছেলেদের ইসলামিক নাম অর্থসহ

রমজান মাস হচ্ছে ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ এবং মুসলমানদের জন্য একটি বিশেষ মাস। রমজান মাসেই আমাদের মুসলিমদের সব থেকে বড় ধর্মীয় কিতাব কোরআন মাজীদ অবতীর্ণ হয়। তাই এই রমজান মাস ধর্মীয় অধ্যয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই মাসে নফল নামাজ ও দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুযোগ থাকে। এই মাসে আল্লাহর নির্দেশ অনুসারে আমরা মুসলমানরা রোজা রাখি এবং তারাবি নামাজ আদায় করে থাকি।

সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৫

সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৫ দেখে নিন। বর্ষপঞ্জিকা অনুযায়ী ২০২৫ সালের রমজান শুরু হবে ১ মার্চ থেকে এবং শেষ হবে ৩০ শে মার্চ যদিও এটি পুরোপুরি চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করবে। ১ই মার্চ থেকে ১ম রমজান হিসেবে সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি দেখানো হলো।

সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৫

রমজান তারিখ বার সেহরির শেষ সময় ইফতারের সময়
১ রমজান ১ মার্চ শনিবার ৫-০১ মি. ৬-০৫ মি.
২ রমজান ২ মার্চ রবিবার ৫-০০ মি. ৬-০৫ মি.
৩ রমজান ৩ মার্চ সোমবার ৪-৫৯ মি. ৬-০৬ মি.
৪ রমজান ৪ মার্চ মঙ্গলবার ৪-৫৮ মি. ৬-০৬ মি.
৫ রমজান ৫ মার্চ বুধবার ৪-৫৭ মি. ৬-০৭ মি.
৬ রমজান ৬ মার্চ বৃহস্পতিবার ৪-৫৬ মি. ৬-০৭ মি.
৭ রমজান ৭ মার্চ শুক্রবার ৪-৫৫ মি. ৬-০৭ মি.
৮ রমজান ৮ মার্চ শনিবার ৪-৫৪ মি. ৬-০৮ মি.
৯ রমজান ৯ মার্চ রবিবার ৪-৫৪ মি. ৬-০৮ মি.
১০ রমজান ১০ মার্চ সোমবার ৪-৫৩ মি. ৬-০৯ মি.
১১ রমজান ১১ মার্চ মঙ্গলবার ৪-৫২ মি. ৬-০৯ মি.
১২ রমজান ১২ মার্চ বুধবার ৪-৫১ মি. ৬-১০ মি.
১৩ রমজান ১৩ মার্চ বৃহস্পতিবার ৪-৫০ মি. ৬-১০ মি.
১৪ রমজান ১৪ মার্চ শুক্রবার ৪-৪৯ মি. ৬-১১ মি.
১৫ রমজান ১৫ মার্চ শনিবার ৪-৪৮ মি. ৬-১১ মি.
১৬ রমজান ১৬ মার্চ রবিবার ৪-৪৭ মি. ৬-১১ মি.
১৭ রমজান ১৭ মার্চ সোমবার ৪-৪৬ মি. ৬-১২ মি.
১৮ রমজান ১৮ মার্চ মঙ্গলবার ৪-৪৫ মি. ৬-১২ মি.
১৯ রমজান ১৯ মার্চ বুধবার ৪-৪৪ মি. ৬-১২ মি.
২০ রমজান ২০ মার্চ বৃহস্পতিবার ৪-৪৩ মি. ৬-১৩ মি.
২১ রমজান ২১ মার্চ শুক্রবার ৪-৪২ মি. ৬-১৩ মি.
২২ রমজান ২২ মার্চ শনিবার ৪-৪১ মি. ৬-১৩ মি.
২৩ রমজান ২৩ মার্চ রবিবার ৪-৪০ মি. ৬-১৪ মি.
২৪ রমজান ২৪ মার্চ সোমবার ৪-৩৯ মি. ৬-১৪ মি.
২৫ রমজান ২৫ মার্চ মঙ্গলবার ৪-৩৮ মি. ৬-১৫ মি.
২৬ রমজান ২৬ মার্চ বুধবার ৪-৩৭ মি. ৬-১৫ মি.
২৭ রমজান ২৭ মার্চ বৃহস্পতিবার ৪-৩৫ মি. ৬-১৬ মি.
২৮ রমজান ২৮ মার্চ শুক্রবার ৪-৩৪ মি. ৬-১৬ মি.
২৯ রমজান ২৯ মার্চ শনিবার ৪-৩২ মি. ৬-১৭ মি.
৩০ রমজান ৩০ মার্চ রবিবার ৪-৩১ মি. ৬-১৭ মি.

২০২৫ সালের রমজান মাসের ক্যালেন্ডার

২০২৫ সালের রমজান মাসের ক্যালেন্ডার অনেকে গুগলে সার্চ করে জানতে চেয়ে থাকেন তাদের জন্য আমরা তৈরি করেছি ২০২৫ সালের রমজান মাসের ক্যালেন্ডার। রমজান মাস হচ্ছে মুসলিমদের জন্য দোয়া কবুলের একটি বিশেষ মাস। সারা বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা অপেক্ষা করে থাকে কবে রমজান মাস আসবে। আর আমাদের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সবথেকে বড় আনন্দের দিন হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর আর এই ঈদুল ফিতর রোজার শেষে।

২০২৫ সালের রমজান মাসের ক্যালেন্ডার

মার্চ ২০২৫ ইং

ফাল্গুন - চৈত্র ১৪৩১ বাংলা

রমজান - শাওয়াল ১৪৪৬ হিজরী

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহঃ শুক্র শনি
৩০
১৬  ৩০
৩১
১৭ 

১৭ 

১৮ 

১৯ 

২০ 

২১ 

২২ 

২৩ 

২৪ 

২৫ 
১০
২৬  ১০
১১
২৭  ১১
১২
২৮  ১২
১৩
২৯  ১৩
১৪
৩০  ১৪
১৫
  ১৫
১৬
  ১৬
১৭
  ১৭
১৮
  ১৮
১৯
  ১৯
২০
  ২০
২১
  ২১
২২
  ২২
২৩
  ২৩
২৪
১০  ২৪
২৫
১১  ২৫
২৬
১২  ২৬
২৭
১৩  ২৭
২৮
১৪  ২৮
২৯
১৫  ২৯

২০২৫ সালের রোজার ঈদ কত তারিখে

২০২৫ সালের রোজার ঈদ কত তারিখে জানার জন্য আমরা সবাই অনেক উদ্বেগ প্রকাশ করে থাকি। কারণ মুসলিম জাতির সবথেকে বড় ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে ঈদুল ফিতর। রোজা ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফরজ বিধান। একজন প্রাপ্তবয়স্ক নর-নারী সবার জন্য রোজা বাধ্যতামূলক। প্রতিদিন সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কোরআন হাদিস থেকে বর্ণিত নিষিদ্ধ কাজ থেকে বিরত থাকাকে রোজা বলে।

আরো পড়ুনঃ বাংলা ক্যালেন্ডার ২০২৪ আজকের তারিখ ও ছুটির তালিকা

আর ৩০ দিন রোজা পালনের পরেই আসে আমাদের মুসলমানদের সব থেকে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। ২০২৫ সালের রমজান শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ১ই মার্চ। সেই হিসাবে রমজান শেষে শাওয়ালের চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে ২০২৫ সালের ঈদুল ফিতর পালিত হতে পারে ৩০ বা ৩১ শে মার্চ। রমজান মাস যদি ২৯ দিনের হয় তাহলে ঈদুল ফিতর পালিত হবে ৩০ মার্চ। আর রমজান মাস যদি ৩০ দিনের হয় তাহলে ঈদুল ফিতর পালিত হবে ৩১ মার্চ।

রমজান, ঈদ, হজ্জ, শবে বরাত, শবে কদর এই সমস্ত ইসলামিক দিনগুলো মূলত চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে পালিত হয়। ইসলামিক ক্যালেন্ডার প্রত্যেক মাসের শুরুর তারিখ চাঁদ দেখা সাপেক্ষে নির্ধারিত হয়। উপরে উল্লেখিত রোজার তারিখ বা ঈদের তারিখ ইংরেজি ক্যালেন্ডার এর উল্লেখিত তারিখের ভিত্তিতে তুলে ধরা হয়েছে। রোজার তারিখ বা ঈদের তারিখ এটি সম্পূর্ণ চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল।

কোন দেশে রোজা কত ঘন্টা জেনে নিন

কোন দেশে রোজা কত ঘন্টা এটি বিভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন সময় হয়ে থাকে। এর কারণ হচ্ছে রোজার দৈর্ঘ্য নির্ভর করে সেখানকার ভৌগোলিক অবস্থা এবং সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়ের সময়ের ওপর। সাধারণভাবে রোজার দৈর্ঘ্য সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত। যেমন উত্তর মেরু অঞ্চলে রোজার সময় অনেক দীর্ঘ হয়ে থাকে, কখনো কখনো ২০ ঘন্টারও বেশি হতে পারে কারণ এই অঞ্চলে গ্রীষ্মকালীন দিনে সূর্য ডুবে না।

কোন-দেশে-রোজা-কত-ঘন্টা-জেনে-নিন

আবার মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো যেমন- সৌদি আরব, পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশ এসব দেশগুলোতে রোজার সময় সাধারণত ১২ থেকে ১৫ ঘন্টার মধ্যে হয়ে থাকে। উত্তর ইউরোপ যেমন- সুইডেন, ডেনমার্ক এ দেশগুলোতে রোজার সময় বেশ দীর্ঘ হয়ে থাকে প্রায় ১৮ ঘণ্টার মতো। দক্ষিণ ইউরোপ যেমন- স্পেন, ফ্রান্স এখানে রোজার সময় সাধারণত ১৫ থেকে ১৬ ঘন্টার মধ্যে হয়ে থাকে।

রমজান মাসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে জেনে নিন

রমজান মাসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। রমজান মাস হলো ইসলামের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাস। এটি আমাদের মুসলিমদের জন্য বিশেষভাবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। কারণ ইসলামের ৫টি স্তম্ভের একটি হল রোজা। রোজা রাখার মাধ্যমে আমরা মুসলমানরা আত্মসংযম, আত্মশুদ্ধি ও অনেক শিক্ষা অর্জন করে থাকি। কেননা রোজা শুধু খাদ্য ও পানীয় থেকে বিরত থাকার বিষয় নয় বরং এটি মনের দুশ্চিন্তাও খারাপ অভ্যাস থেকে মুক্তিরও পথ।

রমজান মাসে মুসলমানরা আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের জন্য জন্য অধিক পরিমাণে ইবাদত করে থাকে।এছাড়াও এই মাসে অধিক সওয়বের আশায় আমরা অনেক দান সদকা করে থাকি, যা সমাজের অসহায় দুস্থদের অনেক উপকারে আসে এবং সমাজের সমতা ফিরে আসে। কারণ আমরা কোরআন ও হাদিসের আলোকে জানতে পারি অন্যান্য মাসের তুলনায় রমজান মাসের ইবাদতে ৭০ গুণ বেশি সওয়াব পাওয়া যায়।

আরো পড়ুনঃ ম দিয়ে ছেলেদের ইসলামিক নাম অর্থসহ

রমজান মাসে আমরা মুসলিমরা একসাথে ইফতার ও সেহরি খেয়ে থাকি যা সামাজিক বন্ধন ও সম্পাদয়ের ঐক্যকে শক্তিশালী করে। এছাড়াও রমজান মাস এ বিশেষভাবে লাইলাতুল কদরের রত্রি রয়েছে। লাইলাতুল কদরের রাত্রি হচ্ছে সেই রাত, যে রাতে আমাদের পবিত্র কোরআন মাজীদ নাযিল হয়েছিল। এই রাতে ইবাদত করার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা যায়। রমজান মাস হচ্ছে মুসলিমদের জন্য ইবাদতের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাস।

রমজান মাসের ফজিলত ও আমল

রমজান মাসের ফজিলত ও আমল সম্পর্কে চলুন বিস্তারিত জেনে নেই। রমজান মাস হল ইসলাম ধর্মের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস কারণ এই মাসে আমাদের পবিত্র কোরআন শরীফ নাযিল হয়েছিল। রমজান মাসে কে কোরআনের মাসও বলা হয় কারণ এই মাসে আল্লাহ তাআলা কোরআন অবতীর্ণ করেছিলেন। রমজান মাসে আল্লাহ তাআলা বিশেষভাবে তার বান্দাদের প্রতি রহমত মাগফিরাত নাজাতের সুযোগ প্রদান করেন।

এই মাসের একটি বিশেষ রাত হল শবে কদর যা হাজার রাতের চেয়েও উত্তম। শবে কদরের রাতে কোরআন নাজিল হয়েছিল। রমজান মাসের রোজা পালন করা আমাদের জন্য ফরজ ও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আমল। রোজা পালনের মাধ্যমে আমরা মুসলমানরা সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার, স্ত্রী সহবাস ও যেকোনো পাপ কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখি। রোজার মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ও আত্মশুদ্ধি। এই মাসের একটি বিশেষ ইবাদত হল তারাবি, তারাবির নামাজ পড়া সুন্নত।

রমজান মাসে তারাবির নামাজ পড়া আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। রমজান মাসে কোরআন তেলাওয়াতের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এবং আমরা যারা কোরআন পড়তে জানিনা তাদের কোরআন শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত। যাকাত ও সদকা দেওয়ার ওপরেও রমজান মাসে বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। যাকাত গরিবদের সাহায্য করার একটি মাধ্যমে এবং যাকাত দেওয়ার মাধ্যমে আমাদের সমাজের মধ্যে বন্ধন অটুট থাকে এবং সমাজের সমঝোতা ফিরে আসে।

আরো পড়ুনঃ বাংলা ক্যালেন্ডার ২০২৪ আজকের তারিখ ও ছুটির তালিকা

এই মাসে দোয়া ইস্তেগফার করা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও এই মাসে আল্লাহর কাছে বেশি বেশি ক্ষমাপ্রার্থনা করা উচিত। রমজান মাসের শেষের দিকে শবে কদরের রাত্রি রয়েছে যা হাজার রাতের চেয়েও উত্তম। তবে নির্দিষ্ট করে বলা নেই শবে কদরের রাত্রি কবে এটি ২০ রমজানের শেষের দিকে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই রাতে আমাদের বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করা ও নফল ইবাদত পালন করা উচিত।

রমজান মাসের আরো অনেক ফজিলত রয়েছে, আল্লাহ তাআলা এই মাসে বিশেষ রহমত বর্ষণ করেন এবং আমাদের গুনাহ মাফ করেন। রমজান মাসের সকল ইবাদতের সওয়াব ৭০ গুণ বেশি। রমজান মাসে দোয়া করা বিশেষভাবে মর্যাদাপূর্ণ, এই মাসে আল্লাহ তা'আলা আমাদের দোয়া কবুল করেন। এছাড়াও এই মাসে জান্নাতের দরজা খোলা থাকে এবং জাহান্নামের দরজা বন্ধ থাকে। রমজান মাসে আল্লাহ তায়ালা শয়তানকে বন্দী করে রাখেন এবং জান্নাতের দরজা খুলে দেন।

শবে কদর ২০২৫ কত তারিখে জেনে নিন

শবে কদর ২০২৫ কত তারিখে এটি জানার জন্য আমরা অনেক কৌতুহল প্রকাশ করে থাকি। কারণ শবে কদরের রাতের ফজিলত বা মর্যাদা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পবিত্র কোরআন মাজীদে বলা হয়েছে শবে কদরের রাত্রি হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। এই রাতে ইবাদতের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর বিশেষ নৈকট্য অর্জন করতে পারি এবং ক্ষমা প্রার্থনা করি। এ রাতে ইবাদতের মাধ্যমে অনেক বেশি সওয়াব অর্জিত হয় এবং আমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার মাধ্যমে পাপ মুক্ত হতে পারি।

শবে-কদর-২০২৫-কত-তারিখে-জেনে-নিন

সাধারণত শবে কদরের রাত্রি পাওয়ার জন্য রমজানের শেষ ১০ দিন বিশেষভাবে ইবাদতের জন্য বলা হয়েছে। কারণ এ রাতের নির্দিষ্ট করে কনো তারিখ বলে দেওয়া নেয় তবে ২১, ২৩, ২৫, ২৭ বা ২৯ রমজান রাতে শবে কদরের রাত্রি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্ষপঞ্জিকা অনুযায়ী যেহেতু আমরা জানি ২০২৫ সালের রমজান শুরু হতে পারে ১ই মার্চ। তাহলে ২০২৫ সালের ২৬শে মার্চ দিবাগত রাত্রি হচ্ছে শবে কদরের রাত

রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ জেনে নিন

রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ জেনে নেওয়া আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমাদের কিছু সাধারণ ভুলের কারণে রোজা ভঙ্গ হয়ে যেতে পারে। এজন্য অবশ্যই আমাদের রোজা ভঙ্গের কারণ গুলো সম্পর্কে জেনে নিতে হবে এবং সতর্ক থাকতে হবে। তাহলে চলুন জেনে নেই রোজা ভঙ্গের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ সমূহ-

  • খাবার গ্রহণ - রোজা অবস্থায় ইচ্ছাকৃতভাবে খাবার বা পানীয় গ্রহণ করলে রোজা ভঙ্গ হয়।
  • স্ত্রী সহবাস - রোজা অবস্থায় যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা হারাম। এটি রোজার মৌলিক বিধির একটি।
  • মাউথওয়াশ বা টুথপেস্ট - আমরা অনেকেই রোজা অবস্থায় দাঁত ব্রাশ করার সময় মাউথওয়াশ ব্যবহার করে থাকি। যা রোজা অবস্থায় করা একদমই উচিত নয় কারণ ব্রাশ করা অবস্থায় এটি গলার ভেতরে চলে গেলে অনেক সময় রোজা ভঙ্গের কারণও হতে পারে। এজন্য অবশ্যই রোজা অবস্থায় মেসওয়াক ব্যবহার করা উচিত।
  • বমি হওয়া - ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করলে রোজা ভঙ্গ হয় তবে অজান্তে বা চিকিৎসার জন্য বমি হলে রোজা ভঙ্গ হয় না।
  • ইনজেকশন, ড্রপ ইত্যাদি - যেকোনো কারণে শরীরের ভেতরে কোন ধরনের তরল বা পুষ্টি উপাদান প্রবাহিত হলে রোজা ভঙ্গ হয়। তবে ড্রপ বা ইনজেকশন যদি শুধুমাত্র চিকিৎসার জন্য হয় এবং তা খাদ্য বা পানীয় নয় তাহলে এটি কিছু ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য হতে পারে।
  • চুলে বা তকে তেল লাগানো - আমরা অনেকেই মনে করি তেল বা ক্রিম লাগানোর ফলে রোজা ভঙ্গ হয় না। কিন্তু যদি তেল শরীরের অভ্যন্তরে প্রবাহিত হয় তাহলে তা রোজা ভঙ্গের কারণ হতে পারে।
  • খাবারের টেস্ট বা গন্ধ নেওয়া - খাবারের টেস্ট বা গন্ধ নেওয়ার ক্ষেত্রে তা যদি মুখের ভেতরে চলে যায় তবে তা রোজা ভঙ্গের কারণ হতে পারে। এক্ষেত্রে বাবুর্চি বা সেফরা সতর্কতার সাথে খাবার টেস্ট করতে পারবে।
  • পানি বা সেবনকারী দ্রব্যের ব্যবহার - ত্বকের ক্রিম লাগানো বা চোখে ওষুধ দেওয়াই সাধারণত রোজা ভঙ্গ করে না। তবে যদি তা খাদ্য বা পানীয় দব্যের মধ্যে পড়ে এবং তা গলা পর্যন্ত চলে আসে তাহলে তা রোজা ভঙ্গের কারণ হতে পারে।
  • রক্ত পড়া - রোজা অবস্থায় যদি কোন স্থানে ক্ষত তৈরি হয় এবং তা থেকে যদি রক্ত গড়িয়ে গড়িয়ে পড়ে তাহলে তা রোজা ভঙ্গের কারণ হতে পারে।
  • রোজা ভঙ্গের কারণ সম্পর্কে অস্পষ্টতা - রোজা ভঙ্গের কোন বিধি সম্পর্কে যদি কোন ব্যক্তি না জেনে থাকে, তাকে জানিয়ে দেওয়ার পরেও যদি উক্ত ভুল করে থাকে তাহলে তা রোজা ভাঙ্গের কারণ হতে পারে।

লেখকের মন্তব্যঃ ২০২৫ সালের রমজান কত তারিখ এবং সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি

রমজান মাস হচ্ছে আমাদের জন্য একটি পবিত্র মাস। যে মাসে আমরা রোজা রাখার মাধ্যমে আত্মনিয়ন্ত্রণ ও আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করতে পারি। রমজান মাসে কোরআন মাজীদ অবতীর্ণ হয়েছিল এবং এই মাসের অনেক গুরুত্ব রয়েছে আমাদের জন্য। অন্যান্য মাসে ইবাদতের তুলনায় এই মাসে ইবাদতে ৭০ গুণ বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। রমজান মাসে রয়েছে শবে কদরের রাত্রি যা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম।

এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আশা করি আপনি জানতে পেরেছেন, ২০২৫ সালের রমজান মাস কত তারিখ থেকে শুরু হবে এবং ২০২৫ সালের ঈদুল ফিতর কত তারিখে এবং ২০২৫ সালের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি সম্পর্কে বিস্তারিত। এই আর্টিকেলটি সম্পর্কে আপনার যেকোনো মতামতের জন্য নিচে কমেন্ট করতে পারেন। ইসলামিক পোস্ট, সুস্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সহ অন্যান্য ক্যাটাগরির আপডেট আর্টিকেলগুলো পড়তে আমাদের হোম পেজটি ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

RIPONTECH24 এর নীতিমালা মেনে আমাদের ওয়েব সাইটে আপনার মূল্যবান কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ। আমরা আপনাদের প্রতিটি কমেন্টের রিভিউ করে থাকি ।

comment url