চুলের জন্য কোন অলিভ অয়েল ভালো ও বেশি কার্যকরী
চুলের জন্য কোন অলিভ অয়েল ভালো বাজারে বা প্রসাধনরির দোকানে গেলে আমরা এমন প্রশ্নের সম্মুখীন হয়। আমরা জানি অলিভ অয়েল আমাদের স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য অনেক কার্যকরী একটি উপাদান। কিন্তু এখন প্রশ্ন বাজারের সব অলিভ অয়েলই কি ভালো।
আমাদের রুক্ষ, শুষ্ক ও ক্ষতিগ্রস্ত চুলের জেল্লা ফেরাতে অলিভ অয়েল তেলের বিকল্প নেই। চুলের বৃদ্ধির পাশাপাশি নরম, কোমল ও স্বাস্থ্য উজ্জ্বল ত্বকের জন্য সব গুণাগুণ রয়েছে এই তেলে। কিন্তু সব অলিভ অয়েল কি ভালো? চলুন জেনে নেই চুল ও ত্বকের জন্য কোন অলিভ অয়েল ভালো।
পোস্ট সূচীপত্রঃ চুলের জন্য কোন অলিভ অয়েল ভালো ও বেশি কার্যকরী
- চুলের জন্য কোন অলিভ অয়েল ভালো
- ত্বকের জন্য কোন অলিভ অয়েল ভালো
- বাচ্চাদের জন্য কোন অলিভ অয়েল ভালো
- কোন কোম্পানির অলিভ অয়েল ভালো
- অরিজিনাল অলিভ অয়েল চেনার উপায়
- চুলের জন্য কোন অলিভ অয়েল ভালো সম্পর্কে সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর
- এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল চেনার উপায়
- অলিভ অয়েল তেলের দাম কত
- অলিভ অয়েল তেল সম্পর্কে সচারচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর
- লেখকের মন্তব্যঃ চুলের জন্য কোন অলিভ অয়েল ভালো ও বেশি কার্যকরী
চুলের জন্য কোন অলিভ অয়েল ভালো
চুলের জন্য কোন অলিভ অয়েল ভালো চলুন জেনে নেই এই প্রশ্নের উত্তর। আমাদের
রুক্ষ, শুষ্ক ও ক্ষতিগ্রস্ত চুলের যত্নে অলীভ অয়েল অনেক কার্যকারী
উপাদান। অলিভ অয়েলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ই এবং পলিফেনল। অলিভ
ওয়েলের হেয়ারমাক্স আমাদের চুলের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে অনেক কার্যকারী
ভূমিকা পালন করে। কিন্তু কোন অলিভ অয়েল চুলের জন্য ভালো? এ প্রশ্নের উত্তর
জানতে প্রথমে আমাদের জানতে হবে অলিভ অয়েল কত প্রকার ও কি কি।
বাজারে সাধারণত চার প্রকারের অলিভ অয়েল দেখা যায়। ১. এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল ২. রিফাইন্ড অলিভ অয়েল ৩. ভার্জিন অলিভ অয়েল ৪. আনফিল্টার্ড অলিভ অয়েল। এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল হচ্ছে জলপাই থেকে সরাসরি সংগ্রকৃত তেল, এই তেলে কোন বাড়তি গন্ধ বা স্বাদ যোগ করা হয় না।রিফাইন্ড অলিভ অয়েল রিফাইন করার কারণে অনেক সময় অন্য সব অলিভ অয়েল থেকে আঠালো ভাবটা কমে যায়।
আরো পড়ুনঃ চুলে অলিভ অয়েল ব্যবহারের নিয়ম ও ১০টি উপকারিতা
ভার্জিন অলিভ অয়েলে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলের সব গুণাগুণই থাকে, তবে
অ্যাসিডের মাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। ভার্জিন অলিভ অয়েল দেখতে
কিছুটা হালকা হলুদ রঙের হয়ে থাকে। আর আনফিল্টার্ড অলিভ অয়েল এর ক্ষেত্রে কোন প্রকার রিফাইন বা পরিশোধন করা হয় না। এই তেলের সঙ্গে
সরাসরি জলপাইয়ের উৎকৃষ্ট অংশও দেখতে পাওয়া যায়। এই তেলের বোতলের
নিচে গাদ জমা হয়, এই তেল দীর্ঘদিন ধরে সংরক্ষণ করা যায় না।
বিভিন্ন অলিভ অয়েলের গুণাগুণ পরীক্ষায় সবথেকে পুষ্টিগুণ সম্পন্ন ও বেশি
কার্যকারীতা দেখা যায় এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল তেল এর
ক্ষেত্রে। এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলএ কোন রকমের বাড়তি গন্ধ বা স্বাদ
যোগ না করায় এই তেলের সমস্ত পুষ্টিগুণ অটুট থাকে। চুলের যত্নে এক্সট্রা
ভার্জিন অলিভ অয়েল হতে পারে বাজারের অন্যান্য অলিভ অয়েল তেলের তুলনায় সেরা।
ত্বকের জন্য কোন অলিভ অয়েল ভালো চলুন জেনে নেই বিস্তারিত।
ত্বকের জন্য কোন অলিভ অয়েল ভালো
ত্বকের জন্য কোন অলিভ অয়েল ভালো চলুন জেনে নেই। অলিভ অয়েল যা আমাদের ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি উপাদান। অলিভ অয়েল প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার যা আমাদের ত্বককে হাইড্রেট রাখে এবং নরম করে তোলে। অলিভ অয়েলে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং বয়সের ছাপ কমায়। এছাড়াও অলিভ অয়েলের অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণ ত্বকের র্যাশ বা ইরিটেশন কমাতে সহায়তা করে।
নিয়মিত অলিভ অয়েল ব্যবহারে আমাদের ত্বক উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যবান হয়ে
ওঠে। এখন ত্বকের যত্নে কোন অলিভ অয়েল ভালো, এমন প্রশ্নে অবশ্যই প্রথমে
উঠে আসবে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলের কথা।কারণ এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ
অয়েল কোনরকম রিফাইন করা হয় না। এতে কোন বাড়তি স্বাদ বা গন্ধযুক্ত করা হয় না
বলে অলিভ অয়েলের সমস্ত গুণাগুণ অটুট থাকে। তাই বলা যায় ত্বকের যত্নে এক্সট্রা
ভার্জিন অলিভ অয়েলই সেরা।
বাচ্চাদের জন্য কোন অলিভ অয়েল ভালো
বাচ্চাদের জন্য কোন অলিভ অয়েল ভালো বা কোন কোম্পানির অলিভ অয়েল ভালো চলুন জেনে নেই। বাচ্চার ত্বকের জন্য অলিভ অয়েল অনেক উপকারী একটি উপাদান। অলিভ অয়েল যাতে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও মিনারেল থাকে। অলিভ অয়েল ব্যবহারে বাচ্চার ত্বককে নরম, মসৃণ এবং সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে, ত্বকের সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে কাজ করে।
আরো পড়ুনঃ মুখে অলিভ অয়েল ব্যবহারের নিয়ম ও ১৫টি উপকারিতা
বাজারে তো অনেক প্রকার অলিভ অয়েল রয়েছে তাহলে বাচ্চাদের জন্য কোন অলিভ অয়েল ভালো এমন প্রশ্ন পায় অনেকেই করে থাকেন। আমরা জানি কোনরকম রিফাইন বা এক্সটা কোন কিছু যুক্ত করা হয় না এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলে। অতএব অলিভ অয়েল তেলের সমস্ত গুণাগুণ ও মান অটুট থাকে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলে। তাই অবশ্যই বাচ্চার জন্য এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল সবথেকে ভালো। অলিভ অয়েল কেনার সময় অলিভ অয়েল উৎপাদনকৃত কোম্পানিটি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিবেন।
কোন কোম্পানির অলিভ অয়েল ভালো
কোন কোম্পানির অলিভ অয়েল ভালো এটি জানা আমাদের জন্য অনেক
গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জানি অলিভ অয়েল তেলের রয়েছে নানা
উপকারিতা। আমাদের ত্বকের এবং চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় অলিভ অয়েল তেলের
ভূমিকা অপরিসীম। কিন্তু বাজারে এত এত অলিভ অয়েলের মাঝে আসল অলিভ অয়েল
খুঁজে পাওয়া মুশকিল। একটি গবেষণায় দেখা গেছে বাজারের ৬৭% অলিভ অয়েল তেল
খাঁটি অলিভ অয়েল তেল নয়।
তাহলে কোন কোম্পানির অলিভ অয়েল তেল ভালো। অলিভ অয়েল তেল কেনার সময় আপনি যে কোম্পানির তেলটি কিনছেন সেই কোম্পানি সম্পর্কে অবশ্যই ভালোভাবে রিসার্চ করে নেবেন। অলিভ অয়েল তেল কেনার সময় আসল অলিভ অয়েল তেলের বৈশিষ্ট্য গুলো মিলিয়ে নিবেন। মনে রাখবেন অলিভ অয়েল তেল সবসময় কাঁচের বোতলে বাজারজাতকরণ করা হয়। বিশ্বস্ত কিছু আলিভ অয়েল তেল উৎপাদনকৃত কোম্পান গুলোর নাম নিচে দেওয়া হল -
- Rongon herbals olive oil
- Olitalia extra vargin olive Oil
- Lucky oliva oliv oil
- Khass food extra vergin oliv oil
- Taj agro ltd olive oil
আপনি চাইলে উপরোক্ত কোম্পানিগুলো থেকে যাচাই করে অলিভ অয়েল কিনতে
পারেন। অলিভ অয়েল কেনার সময় অবশ্যই অলিভ অয়েল তেলের ঘনত্ব, মেয়াদকাল
দেখে কিনবেন। আসল অলিভ অয়েল তেলের মেয়াদকাল সাধারণত ২ বছর পর্যন্ত
হয়ে থাকে। যদিও কোম্পানিগুলো ১৮ মাস পর্যন্ত ব্যবহারের জন্য রিকোমন্ডল
করে থাকে।
অরিজিনাল অলিভ অয়েল চেনার উপায়
অরিজিনাল অলিভ অয়েল চেনার উপায় সম্পর্কে আমরা না জানার কারণে হয়তো অনেকেই অলিভ অয়েল কিনে ঠকে যায়। বেশি দাম দিয়ে আমরা অরিজিনাল অলিভ অয়েল ভেবে হয়তো ভেজাল অলিভ অয়েল কিনে নিয়ে আসি। এতে করে আমাদের শুধু টাকা খরচ হয় কিন্তু আমরা পর্যাপ্ত উপকারিতা পাইনা। এজন্য অবশ্যই আমাদেরকে অরিজিনাল অলিভ অয়েল চেনার উপায় সম্পর্কে জানা উচিত। চলুন জেনে নেই সঠিক অলিভ অয়েল চেনার কিছু উপায় সম্পর্কে।
প্রথমত আপনি লক্ষ্য রাখবেন অরিজিনাল অলিভ অয়েল সব সময় কাচের বোতলে
বাজারজাতকরণ করা হয়। যে কোন প্লাস্টিক বা টিনের কৌটাতে বাজারজাতকরণ অলিভ অয়েল
তেল দেখলে মনে করবেন এটি খাঁটি অলিভ অয়েল তেল নয়। অরিজিনাল অলিভ অয়েল
তেলের ঘনত্ব অন্য তেলের থেকে তুলনামূলক বেশি হয়। অরিজিনাল অলিভ
অয়েল তেল দেখতে হালকা হলুদ বর্ণের হয়ে থাকে।
এছাড়াও আপনি ফ্রিজ টেস্টের মাধ্যমে অরিজিনাল অলিভ অয়েল চেক করতে পারবেন।
এজন্য একটি পাত্রে কিছু পরিমাণ অলিভ অয়েল তেল নিয়ে ড্রিপ ফ্রিজে দুই ঘণ্টার
মত রেখে দিন। দুই ঘন্টা মত ফ্রিজে রাখার পর তেলটি যদি একদম জমে যায় বা
একদম তরল থাকে তাহলে এটা আসল অলিভ অয়েল তেল নয়। আর তেলটি যদি হালকা ঘন
হয়ে ওঠে, তাহলে বুঝবেন এটি অরিজিনাল অলিভ অয়েল তেল।
চুলের জন্য কোন অলিভ অয়েল ভালো সম্পর্কে সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্নঃ অলিভ অয়েল কি চুল লম্বা করে?
উত্তরঃ অলিভ অয়েল তেলে রয়েছে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও
পলিফেনল। যা আমাদের রুক্ষ, শুষ্ক চুলের জেল্লা ফেরাতে উপকারী।
প্রশ্নঃ চুলের জন্য নারিকেল তেল নাকি অলিভ তেল কোনটি ভালো?
উত্তরঃ নারিকেল এবং অলিভ অয়েল উভয় তেলেই রয়েছে আমাদের চুলের জন্য বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ। চুলের জন্য নারিকেল তেল নাকি অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করবেনএটা আপনার ব্যক্তিগত চয়েজ এর উপর নির্ভর করে।
প্রশ্নঃ কোন তেল মাখলে চুল বড় হবে?
উত্তরঃ রোজমেরি অয়েলে রয়েছে ক্যাফেইক অ্যাসিড এবং রোজমেরিক। যা
আমাদের মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন সচল রাখে, ফলে চুল পড়া বন্ধ হয় এবং নতুন চুল
গজাতেও সাহায্য করে। ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল তেলের সাথে ২ টেবিল চামচ রোজমেরি
অয়েল মিশ্রণ করে চুলে লাগাতে পারেন এতে ভালো উপকারে আসবে।
প্রশ্নঃ চুলের জন্য অলিভ অয়েল কোনটি?
উত্তরঃ আমরা জানি চুলের যত্নে অলিভ অয়েলের উপকারিতা রয়েছে
অপারিশীম। চুলের যত্নে সেরা অলিভ অয়েল হচ্ছে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ
অয়েল।
প্রশ্নঃ সবথেকে ভালো অলিভ অয়েল কোনটি?
উত্তরঃ সবথেকে ভালো অলিভ অয়েল হচ্ছে এক্সট্রা
ভার্জিন অলিভ অয়েল।
এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল চেনার উপায়
এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল চেনার উপায় সম্পর্কে না জানার কারণে, আমরা হয়তো
অনেকেই বেশি দামে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলের নামে ভেজাল অলিভ অয়েল কিনে
থাকি। এতে করে আমরা এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ ওয়েলের সঠিক উপকারিতা গুলো পায়
না। আমরা জানি আমাদের শরীরের বিভিন্ন উপকারিতায় বিশেষ করে ত্বক ও চুলের
যত্নে অলিভ অয়েল তেলের গুরুত্ব অপরিসীম। আর অলিভ অয়েল তেলের কথা বলতে গেলে
এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল তেলের কথা না বললেই নয়।
আরো পড়ুনঃ রাতে মুখে অলিভ অয়েল ব্যবহারের নিয়ম
এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল তেল হচ্ছে সেই তেল যা জলপাই থেকে সরাসরি উৎপাদন করা
হয়।কোনরকম রিফাইন বা আলাদা কোন স্বাদ ও গন্ধ যুক্ত না করে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ
অয়েল বাজারজাত করা হয়। বাজারগুলোতে হয়তোবা অনেক নামিদামি ব্যান্ডগুলো
এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলের নামে বিভিন্ন ভেজাল অলিভ অয়েল তেল বিক্রি করে
আসছে। এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল তেল কেনার সময় নিচের কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখতে
পারেন।
এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল অন্য তেলের থেকে তুলনামূলক ঘন ও গারো হয়ে
থাকে। এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল কাচের বোতলে বাজারজাতকরণ করা হয় এবং
এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল এর মেয়াদকাল সাধারণত দুই বছরের বেশি হয়ে থাকে।
এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলে শুধু জলপাইয়ের সুগন্ধ পাওয়া যায়, আলাদা কোন
স্বাদ বা গন্ধ নেই এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলে। এক্সট্রা ভার্জিন
অলিভ অয়েল রোদে রেখে দিলে এর ঘনত্বের পরিবর্তন হয় না।
অলিভ অয়েল তেলের দাম কত
অলিভ অয়েল তেলের দাম কত লিখে অনেকে গুগল এ সার্চ করে থাকেন। অনেকেই
হয়তো অলিভ অয়েল তেলের সঠিক দাম না জানার কারণে অলিভ অয়েল তেল কিনতে গিয়ে
প্রতারিত হচ্ছেন। অলিভ অয়েল তেলে রয়েছে আমাদের শরীরের বিভিন্ন স্বাস্থ্য
উপকারিতা। পুরো বিশ্বে অলিভ অয়েল এর চাহিদা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে, যার
দরুন অলিভ অয়েল তেলের দাম অন্য তেলের তুলনায় কিছুটা বেশি।
বাংলাদেশের বাজারগুলোতে সাধারণত ১০০ মিলি অলিভ অয়েল তেল ১৫০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে। এই মূল্যটি আপনার লোকেশন এর ওপর ভিত্তি করে পরিবর্তনশীল। আপনি যেখানে অবস্থান করছেন, সেখানকার স্থানীয় বাজারে খোঁজ নিয়ে অলিভ অয়েল তেলের সঠিক দামটি জানতে পারেন। বিভিন্ন অনলাইন ই-কমার্স সাইটগুলোতে ভিজিট করেও আপনি অলিভ অয়েল তেলের সঠিক দামটি জানতে পারবেন।
অলিভ অয়েল তেল সম্পর্কে সচারচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্নঃ হাতে পায়ে অলিভ অয়েল দিলে কি হয়?
উত্তরঃ হালকা কুসুম গরম অলিভ অয়েল হাতে পায়ে মালিশ করলে হাত পা
অনেক হেলদি হয়ে উঠবে।
প্রশ্নঃ প্রতিদিন মুখে অলিভ অয়েল মাসাজ করা যাবে কি?
উত্তরঃ আমরা নিয়মিত মুখে অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে আমাদের
ত্বকের বিভিন্ন দাগ সার্কেল দূর করার পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি
পাবে।
প্রশ্নঃ অলিভ অয়েল তেল কি কাজে লাগে?
উত্তরঃ অলিভ অয়েল তেলে রয়েছে আমাদের বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারি
গুণাবলী। ত্বক ও চুলের যত্নে অলিভ অয়েল তেলের গুরুত্ব অপরিসীম। রান্নার
স্বাদ ও পুষ্টিগুণ বজায় রাখতেও অলিভ অয়েল ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্নঃ অলিভ অয়েল দিয়ে কি মুখ পরিষ্কার করা যায়?
উত্তরঃ আমরা বিভিন্ন কেমিক্যালযুক্ত ফেসওয়াশ এর পরিবর্তে প্রাকৃতিক
অলিভ অয়েল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারি।
প্রশ্নঃ অলিভ অয়েল খেলে কি কালো দাগ কমে?
উত্তরঃ অলিভ অয়েল আমাদের ত্বকের বিভিন্ন কালো দাগ দূর করতে ও ত্বকের
উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা পালন করে।
লেখকের মন্তব্যঃ চুলের জন্য কোন অলিভ অয়েল ভালো ও বেশি কার্যকরী
অলিভ অয়েল স্বাস্থ্যকর চর্বির একটি উৎকৃষ্ট উৎস, যা আমাদের হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। অলিভ অয়েলে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা আমাদের শরীরের প্রদাহ কমায়। অলিভ অয়েল আমাদের ত্বক ও চুলের জন্য অনেক উপকারী। চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সহায়তা করে এই তেল। অলিভ অয়েল খাবারে ব্যবহার করলে এটি খাবারের পুষ্টিমান বৃদ্ধি করে। তবে সর্বোত্তম স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য সঠিক অলিভ অয়েল তেল নির্বাচন করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
বাজারে বিভিন্ন ব্যান্ড বা কোম্পানিগুলো এক্সট্রা ভার্জিন লেভেল যুক্ত করে অনেক সময় ভেজাল তেল বিক্রি করে থাকে। স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা ও অলিভ অয়েলের সর্বোত্তম স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য আসল অলিভ অয়েল চেনা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি অলিভ অয়েল তেল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এই পোস্টটি সম্পর্কে কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন।
RIPONTECH24 এর নীতিমালা মেনে আমাদের ওয়েব সাইটে আপনার মূল্যবান কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ। আমরা আপনাদের প্রতিটি কমেন্টের রিভিউ করে থাকি ।
comment url